অপরকে হাই তুলতে দেখে আপনারও কি হাই ওঠার উপক্রম হয়? যদি আপনার এই স্বভাব নাও থাকে, চেনা পরিচিতদের মধ্যে কথা বলে দেখতে পারেন, অনেকেই নিজের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ্য করে থাকবেন। গাড়িতে বসে ঘুমানোর বদ্-অভ্যাস থাকায় আমি সবসময় গাড়ির চালকের পাশে বসাকে এড়িয়ে চলি। আমরা কখনও বৈজ্ঞানিকভাবে ভেবে দেখেছি যে কেন রোম্যান্টিক চলচ্চিত্র বা পার্টি ভিডিও সং এত বাণিজ্যিকভাবে সফল যদিও চলচ্চিত্রে বা ভিডিও সং-এ দর্শক রোম্যান্স বা পার্টি করার সুযোগ পান না? কেন অনেক ক্ষেত্রেই অপরকে কাঁদতে দেখে বা অপরের দুঃখে আমাদেরও খারাপ লাগে? ধর্মগ্রন্থসমূহে মানুষকে অন্যান্য জীব ও মানুষের সাথে সহমর্মিতা শেখানো হয় – অপরের আনন্দকে অনুভব করা, অপরের দুঃখকে ভাগ করে নেওয়া – এক কথায় অপরের অবস্থাকে নিজের মস্তিষ্কে অনুভব করা । অপরের অবস্থাকে নিজের মধ্যে অনুভব করার ক্ষমতা হলো “এম্প্যাথি” যা সাধারণত সকল মানুষের মধ্যে কম-বেশী থাকলেও তাকে আরও বাড়িয়ে নেওয়া যায়। কোন জীবের মধ্যে এই ক্ষমতার উৎসটি হলো – মস্তিষ্ক যে অজস্র স্নায়ুকোষ বা নিউরোন নিয়ে গঠিত, তাদের মধ্যে কিছু বিশেষ প্রকার স্নায়ুকোষ যার নাম “এম্প্যাথেটিক্ মিরর নিউরোন” বা সংক্ষেপে “মিরর নিউরোন” যারা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে আছে।