হ্যাঁ, টেলিপ্যাথি সম্ভব। এমনকি এও বলা হয় যে সবার মধ্যেই কিছু পরিমাণে এসব ক্ষমতা থাকে। সাধারণত টেলিপ্যাথির প্রক্রিয়া হিসেবে যা মনে করা হয় :--
শান্ত হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে যার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাওয়া হয় তার কথা ছবি মনে আনা। ফোকাস বাড়াতে থাকা এবং তার কাছে মেসেজ পাঠানো।
কেমন কাজ করে জানি না কিন্তু এটাই ধরা হয়ে থাকে। মেডিটেশন করলে টেলিপ্যাথির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়। আধ্যাত্মিক ব্যাপার স্যাপারের প্রথম স্তর।
বর্তমানে আধুনিক উপায়ে টেলিপ্যাথি সম্ভব করার চেষ্টা চলছে। ব্রেন সেলের সাথে ইলেক্ট্রোড সংযোগ করে এটি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, উভয় ব্রেনের উদ্দীপনা গুলো শনাক্ত করে ।
এতো যখন বললাম, তখন টেলিপ্যাথির ক্ষমতা আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য মনোবিজ্ঞানীরা কিছু লক্ষন দিয়েছেন।
ত্রিনয়নের অনুভব
অন্যদের প্রতি খারাপ অনূভুতি পোষণ করা কমে যাওয়া
আধ্যাত্মিক ব্যাপারে আগ্রহ বাড়া
শোনার ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া
চিন্তা অনুযায়ী স্বপ্ন দেখা (আমার প্রায়ই হয়)
কিছু ঘটবে অনুভব করা
পুরাতন বন্ধুদের থেকে নতুনদের প্রতি আগ্রহ বাড়া
চোখের কোনায় আলোকবিন্দু দেখা (এটা ঘটলে ধরা হয় এই ক্ষমতা তার স্পিড আপ করছে)
আসলে টেলিপ্যাথি নিয়ে আলোচনার কোন শেষ নাই। কিন্তু এটাকে সীমিত করা হয় কিছুটা এর উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ না থাকার জন্য। তবে এটা আছে বলেই সিংহভাগ বিশারদের অভিমত।
কে জানে হয়তো আপনার, আমার মধ্যেও লুকিয়ে আছে এই ক্ষমতা!