কথায় বলে, সবুরে মেওয়া ফলে। ধৈর্য ধরে কাজ করলে অবশ্যই আপনি সফলতা পাবেন। কিন্তু অনেকেই অল্পতেই হতাশ হয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ধৈর্যের পরীক্ষা সাধারণত বন্ধ দরজার ভেতরেই ঘটে থাকে। ধৈর্য না থাকলে দীর্ঘমেয়াদী কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। ভাল কিছু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে।
আপনি যদি ধৈর্যশীল হতে চান, তবে আপনার জন্যই লেখা ধৈর্যশক্তি বাড়ানোর কিছু উপায়-
ডায়েরি লেখার অভ্যাস:
ডায়েরি লেখার অভ্যাস ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি করবে। বিশেষ বিশেষ দিনের ঘটনা, যে ঘটনা খুব ভাবাচ্ছে, তাই ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। যেকোনো ঘটনা বিস্তারিত লিখতে ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন।
বই পড়া:
ধৈর্যশক্তি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে বই পড়া। তাই ধৈর্যশক্তি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে বই পড়া। বই পড়া মানসিক চাপ কমায়। মনকে ধীর স্থির করে তোলে।
মেডিটেশন (ধ্যান) করুন:
মেডিটেশন বা ধ্যান ধৈর্য বাড়ানোর একটি অন্যান্য কার্যকরি উপায়। যেকোনো মানসিক চাপ থেকে মুক্তি লাভের উপায় হলো মেডিটেশন।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন:
আত্মবিশ্বাস শুধু ধৈর্য বাড়ায় তা নয়, সফলতা অর্জনেও সাহায্য করে। তাই নিজে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। আত্মবিশ্বাস আপনার সফলতা চাবিকাঠি।
নিজেকে সময় দিন:
নিজেকে সময় দেওয়া খুব জরুরী। দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে আমরা নিজেকে ভুলে যাই। ভুলে যাই আমাদেরও দরকার বিশ্রাম। কিন্তু শরীর মন ভাল রাখতে হলে অবশ্যই নিজেকে সময় দিতে হবে। শরীর মন ভাল থাকলে আপনি ধৈর্য ধারণে সক্ষম হবেন।
তুলনা করবেন না:
অন্যের সাথে কখনোই নিজের তুলনা করবেন না। অন্যরা কি করল তাতে নজর না দিয়ে নিজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তাই দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। দেখে আসতে পারেন সমুদ্র, ঝর্ণা কিংবা পাহাড়।
বাস্তববাদী হয়ে উঠুন:
বাস্তবতা কঠিন আমরা সবাই জানি। তাই ঘটে যাওয়া ছোট কোনো ঘটনা নিয়ে মন খারাপ করবেন না। যা ভবিষ্যতে হওয়ার, তাই হবে। এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। তবে চেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখা চলবে না ।