শিশুটি সিরনোমেলিয়া বা মারমেড সিনড্রোমে আক্রান্ত। এক লাখ শিশু জন্মালে একজনের এমন রোগ হয়। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত পাঁচজন শিশু এমন শরীরী গঠন নিয়ে জন্মেছে। অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ড দু’টির বদলে একটি ধমনি তৈরি করলে মায়ের শরীর থেকে ভ্রূণ যথেষ্ট রক্ত ও পুষ্টি পায় না। ফলে দু’টো পায়ের বদলে শরীরের নিম্নাঙ্গ মাছের আকার নেয়। অনেকগুলি কারণের মধ্যে এটা একটা। এই ধরনের শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কিডনি ও মূত্রথলির সমস্যায় ভুগতে থাকে। মুসকুরার সন্তানের ক্ষেত্রেও এমন নানা সমস্যা ছিল। সুস্পষ্ট রেচনাঙ্গ বা জননাঙ্গও ছিল না। ফলে অনেক চেষ্টাতেও মারমেড বেবি-কে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি বাঁচানো যায়নি। সিরনোমেলিয়া বা মারমেড সিনড্রোম একটি বিরল জন্মগত রোগ। এক লাখ শিশু জন্মালে একজনের এমন রোগ হয়। সাধারণত, ১-২ দিনের বেশি বাঁচে না। ব্যতিক্রম অবশ্য রয়েছে। ফ্লোরিডার টিফানি ইয়র্কস থেকে পেরুর মিলাগ্রাস ক্যারেন। টিফানির ২৭ বছর, মিলাগ্রাসের ১১ বছর বয়স। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত পাঁচজন শিশু এমন শরীরি গঠন নিয়ে জন্মেছে। চিকিৎসকদের মতে, অ্যাম্বিলক্যাল কর্ড যখন দু’টি ধমনি তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তখনই এই জটিলতা তৈরি হয় ভ্রূণের মধ্যে। আসলে একটা ধমনি হওয়ায় মায়ের শরীর থেকে ভ্রূণের মধ্যে যথেষ্ট রক্ত সংবাহিত হয় না। একমুখী রক্তপ্রবাহের জন্য ভ্রূণ যথেষ্ট পুষ্টি পায় না। তার জেরেই মাছের লেজের মতো হয় যায় শরীরের নিম্নভাগ। এই শিশুরা জন্মের পর থেকেই কিডনি ও মূত্রথলির সমস্যায় ভুগতে থাকে। বেশিরভাগ সুস্পষ্ট কোনও রেচনাঙ্গ বা জননাঙ্গ থাকে না। ফলে, শিশুর লিঙ্গ নির্ধারনেও সমস্যা হয়। সেবাসদনের শিশুটিরও লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে অত্যধিক ওষুধ প্রবেশ করলে, ভিটামিনের অভাব হলে কিংবা মা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই ব্যাখ্যা চূড়ান্ত নয়।
BD news 24