অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা যে আমরা ক্ষুদ্র বস্তু বড় করে দেখতে পাচ্ছি, তার কারণ হল লেন্স ব্যবহার করে আলোর প্রতিসরণ ধর্মকে কাজে লাগানো হয়ছে। লেন্সের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত আলো কিভাবে প্রতিসারিত হয়ে বস্তুর চেয়ে ছোট বা বড় বিম্ব গঠন করে সেটা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়েই পাবেন। ইন্টারনেটেও একটু ঘাঁটলেই জানা যাবে। এগুলো আলোকবিদ্যা বা অপটিক্স নামে পদার্থবিদ্যার একটা শাখার খুব বেসিক জ্ঞান। আমি এগুলো নিয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছিনা।
অণুবীক্ষণ যন্ত্রে চোখ লাগিয়ে আমরা যা দেখি তা হল হল বস্তুর একটা বিম্ব। বিম্বটা গঠিত হয়েছে দর্শকের চোখের রেটিনাতে। রেটিনায় আলোক সম্পাত বা প্রজেকশনের ফলে আমরা সেটা "দেখতে পাই।" ধরা যাক আপনি অণুবীক্ষণ দিয়ে একটা অণুজীব দেখছেন, তাহলে সেই অণুজীবটা হল বস্তু আর আপনি তার বিশালাকার যেই চিত্র দেখতে পাচ্ছেন সেটা হল বিম্ব। যদি অণুবীক্ষণ যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা আলো আপনার রেটিনায় না ফেলে যদি অন্য একটা লেন্সের মধ্য দিয়ে পার করে দেওয়া হয়, তাহলে সেই লেন্সের গুনাগুণের উপর নির্ভর করে আরও বড় বা ছোট বিম্ব পাওয়া যাবে। যদি একটা দর্পনে ফেলা হয়, তাহলে প্রতিফলিত হয়ে অন্য কোথায় গিয়ে বিম্ব গঠিত হবে। এই পর্যন্ত যা বললাম তা যদি বুঝতে থাকেন, তাহলে আপাতত এই বোধটা পকেটে (বা অন্য কোথাও) সংরক্ষণ করেন।
প্রশ্ন করা হয়েছে ছবি কিভাবে তোলা হয়। ছবি তুলতে একটা ক্যামেরা লাগবে। ক্যামেরার ভেতরে কী আছে আমরা কি জানি? মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্য বইতে আছে, আরেকবার বই খুলে দেখেন। অথবা ইন্টারনেটে চট করে নিজ উদ্যোগে গবেষণা করে জেনে নেন। ক্যামেরার মধ্যে আছে কয়েকটা লেন্স, দর্পন, প্রিজম ইত্যাদি। এসবের মধ্য দিয়ে আলো প্রবাহিত অথবা প্রতিফলিত হয়ে শেষে ছবি তোলার ফিল্মে গিয়ে বিম্ব গঠিত হয়। যদি আধুনিক কালের ডিজিটাল ক্যামেরার কথা ধরি, তাহলে আলোক সংবেদনশীল সেন্সরের উপরিতলে বিম্ব গঠিত হয়। যার বিম্ব গঠিত হয়েছে, সেটা একটা প্রাকৃতিক দৃশ্য হতে পারে। আবার অণুবীক্ষণ যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা অণুজীবের দৃশ্যও হতে পারে। ক্যামেরার তাতে কিছু আসে যায় না। সে ঠিকই ফিল্ম অথবা সেন্সরের উপর বিম্ব গঠন করে দিবে। অণুজীবের ছবিটা পরিষ্কার না হয়ে ঘোলাও হতে পারে, যদি ফোকাস ঠিক না থাকে। কিন্তু সেটা বড় সমস্যা না। ক্যামেরায় ফোকাস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে। কিছুক্ষণ চেষ্টা করলেই ফোকাস ঠিক করে চমৎকার পরিষ্কার ছবি পেয়ে যাবেন।
QUORA