Warman Hasbi-
এই ব্যাপারটি ঘটে হচ্ছে এটমিক পর্যায়ে। প্রতিটি এটমের থাকে নিউট্রন, প্রোটন এবং সমপরিমান ইলেক্ট্রন। প্রোটন এবং নিউট্রন নিউক্লিয়াসে থাকে এবং ইলেক্ট্রন মুক্ত অবস্থায় নিউক্লিয়াসের চারপাশে থাকে।
ইলেক্ট্রনগুলো যে শক্তিস্তরগুলোয় থাকে এর সর্বশেষ স্তরে যদি ১,২ বা তিনটি মুক্ত ইলেক্ট্রণ থাকে তাহলে সেটিকে ঋণাত্নক চিহ্নিত করা হয় কারণ এটি বাহিরের স্তরে থাকা ইলেক্ট্রণগুলো ত্যাগ করতে পারবে।অন্য দিকে এমন কোন এটম যার শেষ শক্তিস্তর পূর্ণ হতে ১,২ বা ৩ টি ইলেক্ট্রণ প্রয়োজন সে এগুলো গ্রহন করবে তাই তাকে ধণাত্নক এটম বলা হবে।
আমাদের তারগুলো সাধারণত থাকে কপারের তৈরি, কপারের এটমের শেষ স্তরে একটি মুক্ত ইলেক্ট্রণ আছে যা স্বাভাবিক ভাবে এলোমেলো ছুটাছুটি করে। কিন্তু যদি এতে ব্যাটারি সংযোগ দেয়া হয় তখন ব্যাটারির পসিটিভ প্রান্ত যেখানের এটমগুলোর শেষ শক্তিস্তরে কম ইলেক্ট্রন আছে সেদিকে কপারের শেষ স্তরে থাকা মুক্ত ইলেক্ট্রন গুলো আসতে থাকবে, অন্যদিকে ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত অর্থাৎ যেদিকের এটমগুলোর শেষ শক্তিস্তরে বেশি ইলেক্ট্রন আছে সেখান থেকে মুক্ত ইলেক্ট্রণ কপারের তারে চলে যাবে ,এভাবে একদিকে আসা অন্যদিকে যাওয়ার ফলে তখন একটি ইলেক্ট্রন প্রবাহ তৈরি হবে ঐ কপার তারে। যেখানে ইলেক্ট্রন ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত থেকে বের হয়ে কপার তাঁর হয়ে আবার ব্যাটারির পসিটিভ প্রান্তে গিয়ে প্রবেশ করছে।
ইলেক্ট্রনের এই প্রবাহের ফলে তৈরি হয় চার্জ, যা মূলত বিদ্যুৎ শক্তি তৈরি করে এবং ইলেক্ট্রন যেদিকে প্রবাহিত হয় চার্জ এর বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়, চার্জ প্রবাহিত হয় ব্যাটারির পসিটিভ থেকে নেগেটিভের দিকে। পরে এই শক্তি আলোক শক্তি, তাপ শক্তি বা অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
এটমের শেষ শক্তিস্তরের পরে আরেকটি স্তর থাকে যেখানে গেলে (ভ্যলেন্স বেন্ড থেকে কন্ডাকশন বেন্ড) পরে ইলেক্ট্রণ মুক্তভাবে অন্য এটমে যেতে পারে, সেই স্তরে যেতে কিছুটা তাপশক্তির প্রয়োজন হয়, যেসব পদার্থ ভাল পরিবাহী সেগুলোর কন্ডাকশন ব্যান্ড কাছাকাছি হওয়ায় অল্প তাপে(কক্ষ তাপেই) পৌঁছে যায় ফলে সহজেই ইলেক্ট্রন পরিবাহিত হয় এবং চার্জ উৎপন্ন হয় এদের কন্ডাক্টর বা পরিবাহী বলে, অন্যদিকে কিছু পদার্থে যথেষ্ঠ তাপ প্রয়োগের পর শক্তি লাভ করে মুক্ত ইলেক্ট্রন কন্ডাকশন বেন্ডে যায় এবং তখন ইলেক্ট্রণ প্রবাহ শুরু হয় এদের সেমিকন্ডাক্টর বলে। আর যেগুলোর কোন মুক্ত ইলেক্ট্রন থাকে না তাঁরা অপরিবাহী।
©Warman Hasbi