বন্দুকে যেই জিনিসটা সাইলেন্সার হিসেবে ব্যবহৃত হয় তা কিভাবে শব্দ রোধ করে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
943 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim- 

গুলি করার জন্য প্রথমেই বুলেটের পেছনের গান পাউডার-এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই গান পাউডার তখন বেশ উচ্চ চাপযুক্ত গরম বায়ুর উৎপত্তি ঘটায়। উচ্চ চাপযুক্ত এই বায়ু পরে বুলেটটিকে দ্রুতবেগে ব্যারেলের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করে। এই বুলেটটিই যখন বন্দুকের ব্যারেল থেকে বের হচ্ছে, তখন ব্যাপারটি অনেকটাই একটা বোতলের ছিপি খোলার মতো হয়ে যায় (শ্যাম্পেনের বোতল দিয়ে চিন্তা করতে পারেন, টম এন্ড জেরীতে যেমন দেখা যায় আর কি)।

তবে বুলেটটি যদি শুধু বেরিয়ে আসতো তাহলে আর চিন্তার কিছু ছিলো না। কিন্তু বুলেটটির পেছনে থাকে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার এক বায়ুচাপ- প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে প্রায় ৩,০০০ পাউন্ড এর মতো। ফলে বন্দুকের এই ‘বোতল খোলা’ অর্থাৎ বুলেট বের হবার সময় এত জোরে শব্দ হয়ে থাকে।

এতক্ষণ তো জানা গেলো শব্দ হবার কারণ সম্বন্ধে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে এই শব্দ বন্ধ করা যায় সে সম্পর্কে অর্থাৎ আমাদের আলোচ্য ‘সাইলেন্সার’ কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে।

সাইলেন্সারটিকে লাগানো হয়ে থাকে ব্যারেলের শেষ প্রান্তে। আর আয়তনেও এটি ব্যারেল থেকে বেশ বড়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ গুণের মতো। একটু কি জট খুলতে পারছেন এবার?

আমরা জেনেছি, গান পাউডারে অগ্নিসংযোগের ফলে বেশ উচ্চ চাপের বায়ুর উৎপত্তি হয়। কিন্তু এই উচ্চ চাপযুক্ত বায়ুই সাইলেন্সার-এ এসে প্রসারণের জন্য অনেক জায়গা পেয়ে যায়। আর বায়ুর প্রসারণের ফলে তার চাপও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ফলে এবার যখন বুলেটটি সাইলেন্সার দিয়ে বের হচ্ছে (ব্যারেল না কিন্তু) তখন এর পেছনে বায়ুচাপ থাকছে বেশ কম, প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে মাত্র ৬০ পাউন্ডের মতো। ফলে গুলি করার শব্দও ‘একেবারে নাই হয়ে যায়’ বললেই চলে। আর এভাবেই কাজ করে থাকে ‘সাইলেন্সার’।

©ওয়াসিম সাজ্জাদ

0 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
Jaedul Tawsun-

এটি খুবই সহজ একটি নীতি অনুসরন করে কাজ করে। একটি ছোট উদাহরন দিলে কিছুটা ধারনা নেয়া যাবে। মনে করুন, আপনি একটি বেলুন পিন দিয়ে ফুটো করে দিলেন। তখন এটি প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরিত হবে। কিন্তু যদি আপনি এর মুখের দিকটি খুলে দেন, তাহলে এটি থেকে বাতাস আস্তে আস্তে বের হয়ে যাবে এবং খুব একটা শব্দ করবে না।

পিস্তলের সাইলেন্সার এর পিছনে এই মৌলিক ধারনাটিই মুলত কাজ করে। পিস্তল থেকে একটি বুলেট নিক্ষেপ করার সময় বুলেটের পেছনে থাকা গান পাউডার সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি খুবই উচ্চ চাপের গরম গ্যাসের একটি তড়িৎ প্রবাহ।  তৈরি করে যা বুলেটটিকে ব্যারেল দিয়ে তীব্র গতিতে বের করে দেয়। বুলেটটি যখন ব্যারেল থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যায়, তখন ব্যপারটি দাঁড়ায় অনেকটা বোতল থেকে কর্কের ছিপি খুলে দেয়ার মত। অর্থাৎ বুলেটের পেছনে থাকা গ্যাস তীব্র গতিতে বের হওয়ার ফলে ভয়াবহ শব্দের তৈরি হয়। সাইলেন্সার যুক্ত করা পিস্তলে মুলত বুলেটটি বেরিয়ে যাবার পর, চাপযুক্ত গরম গ্যাস কিছুটা প্রসারিত হওয়ার জায়গা পায়। ফলে এটির চাপ অনেকটাই কমে যায় এবং যখন বুলেটটি বেরিয়ে যায়, তখন এর শব্দ হয় অনেক কম। তবে এই সাইলেন্সার কিন্তু পিস্তলের শব্দকে পুরপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। কিছুটা ভোতা হালকা একটি শব্দ হয়। অনেকের মতে সুপারসনিক স্পীডে(শব্দের চেয়ে দ্রুত গতি) ছোটা বুলেটের শব্দকে সাইলেন্সার মোটেই কমাতে পারেনা। কারন এই ধরনের বুলেট ব্যারেল থেকে বেরিয়ে যাবার পর গতির কারনে এক ধরনের শব্দ তৈরি হয় যা নিয়ন্ত্রন করা যায় না। কারন সাইলেন্সার শুধুমাত্র বুলেট বেরিয়ে যাবার সময় সৃষ্টিকারী শব্দ নিয়ন্ত্রন করতে পারে, বাতাসের মধ্য দিয়ে বুলেটের ছুটে যাবার শব্দকে নয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 1,678 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,511 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 481 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 261 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,461 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

267,864 জন সদস্য

108 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 107 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  2. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  3. JustineReibe

    100 পয়েন্ট

  4. CathyDudley

    100 পয়েন্ট

  5. saowinhair

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...