রক্ত দেখলে মাথা ঘোরে বা ভয় লাগে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
6,075 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

6 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim-

রক্ত দেখলেই অনেকে ভয় পান। ভয়ে প্রায় অজ্ঞান হওয়ার জোগাড় হয়। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, পৃথিবীর প্রায় তিন শতাংশ মানুষই রক্তভীতিতে ভোগেন। চিকিৎসকদের ভাষায়, একে ভ্যাসোভেগাল সিনকোপ অথবা নিউরোকার্ডিওজেনিক সিনকোপও বলে।

‘ভ্যাসো’ বলতে বোঝানো হয় রক্তনালি এবং ‘ভ্যাগাস’ হলো একটি বিশেষ স্নায়ু। রক্ত দেখে ভয় পাওয়াটি মূলত হিমোফোবিয়া। খুব সাধারণ এই ফোবিয়া আদতে নিরীহ। মারাত্মক কোনো ক্ষতি করে না। তবে যদি ভয়ের চোটে ঘন ঘন অজ্ঞান বা বাড়াবাড়ি রকমের প্রতিক্রিয়া প্রায়ই হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেকেই ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দেখলে ভয় পান। রক্তদান করতেও এই ভীতি কাজ করে। মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘হিমোফোবিয়ায় ভোগেন এমন মানুষদের ক্ষেত্রে রক্ত দেখলেই তাদের হার্ট বিট বেড়ে যায়। সেখান থেকে অ্যাংজাইটি বা প্যানিক অ্যাটাক হয়। এতে রক্তচাপও বাড়ে অনেকের। অনেকে রক্ত পরীক্ষার সময়ও এই ভীতিতে ভোগেন। তবে শুধু এটুকুই নয়, অনেকেই এই প্যানিক অ্যাটাক সামলাতে না পেরে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখেন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।’ হিমোফোবিয়া নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা অবশ্য দাবি করে, এই ফোবিয়া কিছুটা জিনগত, অর্থাৎ উত্তরাধিকার সূত্রে মেলে।

এমন হলে কী করবেন: চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই, কিন্তু হঠাৎ কাউকে এমন হতে দেখলে বা নিজের এমন হলে দ্রুত কোনো শক্ত জিনিসে হেলান দিয়ে বসে পড়ুন। ঘাড়ে পানি দিন। ধীরে ধীরে শুয়ে পড়ে পা দুটো কোনো সাপোর্টের মাধ্যমে উঁচু করে রাখুন। এতে রক্ত চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক হবে ও প্যানিক অ্যাটাক সারবে। রক্তে ভয় থাকলে মেডিকেল চেকআপ বা কোনো ইনজেকশন নেওয়ার সময় একা যাবেন না। সূচের দিকে না তাকানোই ভালো।

করেছেন (100 পয়েন্ট)
আমি যদি একজন ডাক্তার হতে যাই তাহলে তো সমস্যাটা প্রকট প্রভাব ফেলবে। তখন কি করণীয়?
0 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

Mobin Sikder- 

রক্ত দেখে ভয় পাওয়াকে হেমোফোবিয়া বলা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় ভাসোভেগাল সিনকোপ বা নিউরোকার্ডিওজেনিক সিনকোপ। ভ্যাসো’ বলতে বোঝানো হয় রক্তনালী এবং ‘ভ্যাগাস’ হল একটি বিশেষ স্নায়ু ।

হেমোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি যখন রক্ত দেখেন তখন তার হার্টের হার এবং রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমতে থাকে। রক্তচাপের প্রভাব মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।

হিমোফোবিয়ার অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাস কষ্ট, বুকে ব্যথা, হালকা মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। হেমোফোবিয়া অনেকে উত্তরাধীকারসূত্রে পেয়ে থাকেন। আবার তার নিজের থেকেও হতে পারে।

সারাবিশ্বে প্রায় এক থেকে তিন শতাংশ মানুষ এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত।

Afsana Afrin

team science bee

0 টি ভোট
করেছেন (320 পয়েন্ট)
রক্ত দেখে ভয় পাওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় ভাসোভাগাল সিনকোপ বা নিউরোকার্ডিওজেনিক সিনকোপ। যা হেমোফোবিয়া নামে পরিচিত।

গবেষকরা বলছেন, এটি এক ধরণের ফোবিয়া। যা হেমোফোবিয়া নামে পরিচিত। সারাবিশ্বে এক থেকে দুই শতাংশ মানুষ হেমোফোবিয়ায় আক্রান্ত।

হেমোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি যখন রক্ত দেখেন তখন তার হার্টের হার এবং রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমতে থাকে। রক্তচাপের প্রভাব মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়।তার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কম হয়। এই কারণেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তাঁরা।

 

 হিমোফোবিয়ার অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাস কষ্ট, বুকে ব্যথা, হালকা মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। পরিবারের কারো  থাকলে তার থেকে এ সমস্যায় পরবর্তী প্রজন্ম আক্রান্ত হতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)
না আমার কখনো রক্ত দেখলে ভয় লাগে না ।অন্যদের কেন লাগে জানি না।
0 টি ভোট
করেছেন (15,210 পয়েন্ট)
অনেক সময় বিভিন্ন টেস্টের জন্য বা অন্যের প্রয়োজনে রক্ত দিতে হয়। অনেকে আছেন যারা সামান্য রক্ত দেখলেই ভয় পান। তাদের জন্য রক্ত দেয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

আপনি জানেন কি? রক্ত দেখে ভয় পাওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় ভাসোভাগাল সিনকোপ বা নিউরোকার্ডিওজেনিক সিনকোপ। এর পেছনেও রয়েছে এক রহস্য। জেনে নিন রক্ত দেখলে ভয় পান কেন?  

 

গবেষকরা বলছেন, এটি এক ধরণের ফোবিয়া। যা হেমোফোবিয়া নামে পরিচিত। সারাবিশ্বে এক থেকে দুই শতাংশ মানুষ হেমোফোবিয়ায় আক্রান্ত।

 

হেমোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি যখন রক্ত দেখেন তখন তার হার্টের হার এবং রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমতে থাকে। রক্তচাপের প্রভাব মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।  হিমোফোবিয়ার অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাস কষ্ট, বুকে ব্যথা, হালকা মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। হেমোফোবিয়া অনেকে উত্তরাধীকারসূত্রে পেয়ে থাকেন। আবার তার নিজের থেকেও হতে পারে।

 

ভাসোভাগাল সিনকোপ বা হেমোফোবিইয়া খুবই সাধারণ শারীরিক অবস্থা। এতে তেমন কোনো মারাত্মক শারীরিক ঝুঁকি নেই। এছাড়াও রক্ত দেখার পর চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। তবে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
ভ্যাসোভেগাল সিনকোপ সমস্যাটি থাকার অর্থ হলো, এক ফোঁটা রক্ত দেখলেও সে ব্যক্তির হৃদস্পন্দন অর্থাৎ হার্ট রেট মুহূর্তের মাঝে কমে যাবে। এ সময়ে পায়ের রক্তনালীগুলোতে রক্ত জমা হয় এবং মস্তিষ্ক থেকে রক্ত নিচের দিকে চলে যায়। রক্তচাপও কমে যায়। ফলে ওই মানুষটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 340 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 598 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,769 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 428 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,684 জন সদস্য

139 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 139 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. AndraN247956

    100 পয়েন্ট

  5. SheriSaddler

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...