৯৩ দিন আটলান্টিকের নিচে কাটিয়ে ডাঙ্গায় আসলে একদল বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পর্যবেক্ষণের সময় হতবাক হয়ে যান তারা। কারণ- মানুষের শরীরে প্রতিরক্ষামূলক ডিএনএ ক্যাপ হিসেবে পরিচিত যে টেলোমেরেস থাকে, সেটি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকুচিত হতে থাকে। কিন্তু দিতুরির ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। পানির নিচে যাওয়ার আগে দিতুরির টেলোমেরেস যে অবস্থায় ছিল, অভিযান শেষ করার পর সেটি এখন ২০ শতাংশ দীর্ঘ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
টেলোমেরেসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, দিতুরির বয়স উল্টো ১০ বছরের সমান এগিয়ে এসেছে। টেলোমেরেস দীর্ঘ হওয়া ছাড়াও দিতুরির স্টেম সেলের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। আগের তুলনায় ভালো ঘুমও হচ্ছিল তার। আর কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭২ পয়েন্ট কমে তার শরীরে প্রদাহ সৃষ্টিকারী পদার্থের পরিমাণও অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল।
এছাড়া পদার্থের পরিমাণও অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল।
চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন, পানির নিচে চাপের প্রভাবেই দিতুরির শরীরে ইতিবাচক ওই পরিবর্তনগুলো দেখা গেছে। মানবদেহ দীর্ঘ সময় ধরে চাপের পরিস্থিতিতে থাকলে সাড়া দিতে শুরু করে বলেও জানান চিকিৎসকেরা।
অভিযানের বিষয়ে ডেইলি মেইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে দিতুরি জানিয়েছিলেন, পানির নিচে থাকার সময় তিনি সপ্তাহে পাঁচ দিন এক ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করতেন। ৯৩ দিনের অভিযান শেষে তিনি আরও একটি বড় সুবিধা অনুভব করেছিলেন। তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, আগের তুলনায় তাঁর বিপাকক্রিয়ারও উন্নতি হয়েছে।
মজার বিষয় হলো—সবকিছুর উন্নতি হলেও একটি বিষয়ে অবনতি হয়েছিল জোসেফ দিতুরির। অভিযান শেষে দেখা যায়, তাঁর উচ্চতা কমে গেছে প্রায় আধা ইঞ্চির মতো।
© Mariam Akter Shahana