আমরা নিজেদের দোষ স্বীকার করতে চাই না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
255 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (9,190 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (9,190 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

আপনি কি নিজের দোষ স্বীকার করতে চান না? সবসময় নিজের দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেন?

ধরুন আপনি অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় অনেক ভালো রেজাল্ট করলেন। কিন্তু আপনি বলতে গেলে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনাই করেননি। পরীক্ষার হলে গিয়ে বন্ধুদের খাতা দেখে নকল করার মাধ্যমে আপনার এই সাফল্য। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার পর আপনার বন্ধুদেরকে আপনি আর চেনেনই না! নকল করা স্বত্ত্বেও সবাইকে বলে বেড়ালেন যে আপনার সততা এবং তীব্র পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অর্থাৎ অন্যের ক্রেডিট বেমালুম নিজে নিয়ে নিলেন। আবার ধরূন বার্ষিক পরীক্ষায় ফেইল করলেন। এবার আর বন্ধুরা নকল করতে সাহায্য করেনি। কিন্তু এবার নিজের দোষ থাকা সত্ত্বেও উল্টো নিজের বন্ধু এবং স্যারকেই দোষারোপ করা শুরু করে দিলেন। আপনার ভাষ্যমতে- ' আজ বন্ধুরা নকল করতে দেয়নি বলেই আমি ফেইল করেছি। স্যারেরও দোষ আছে। সে আমাকে ফেইল কেন করাবে, পাশের সুন্দর মেয়েটাকে তো ফেইল করালো না'

এই যে নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন, আবার নিজে কিছু না করেই ভালো কাজগুলোর ক্রেডিট নিয়ে নিলেন এটাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় সেলভ সারভিং বায়াস বলে।

সেলভ সারভিং বায়াস কেন হয়?

সেলফ সারভিং বায়াস নিয়ে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছিল ১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে। এট্রিবিউশন বায়াস নামে আরেকটি বায়াসের ব্যাপারে গবেষণা করতে গিয়ে সেলফ সারভিং বায়াস সম্পর্কে তখন থিওরি দাঁড়া করানো হয়েছিল। এই গবেষণার সময়ে অস্ট্রিয়ার মনোবিজ্ঞানী ফ্রিৎজ হাইডার দেখেন যে, যেসব ঘটনার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া সহজ নয়, সেখানে মানুষ আত্মমর্যাদাবোধ বজায় রাখতে সেলফ সারভিং বায়াসের শিকার হয়। সেলভ সারভিং বায়াস কেন ঘটে তার পিছনে গবেষকেরা গবেষণা করে কয়েকটি কারণ বের করেছেন।

★আত্মমর্যাদাবোধ - সাফল্য নিজেরা নিয়ে ব্যর্থতার দায় অন্যকে দিয়ে নিজের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করা যায়।

★সেলভ প্রেজেন্টেশন - নিজেকে দুভাবে প্রেজেন্ট করা যায়। নিজের ব্যক্তিগত যে প্রতিচ্ছবি আমরা নিজের মধ্যে ধারণ করি সেটা অন্যের সাথে মেলানো এবং অন্যটি হচ্ছে, আরেকজনের পছন্দ ও প্রত্যাশার সাথে তা মেলানোর জন্যে। এক্ষেত্রে মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করে অন্যজন তাকে নিয়ে কি ভাবছে? নিজের সবচেয়ে ভালো/ পছন্দনীয় দিকটি অন্যজনের সামনে তুলে ধরাই তখন মূখ্য বিষয়৷
সেলভ প্রেজেন্টেশনও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিরই কাজ করছে ।


সেলভ সার্ভিং বায়াস এর প্রতিকার-

যদিও সেলফ সারভিং বায়াস অনেক বেশি সহজাত, তবুও এটা এড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে।

★সচেতনতা - সচেতনতার মাধ্যমে সেলভ সারভিং বায়াস কমানো সম্ভব। যখন কোন মানুষ বায়াস সম্পর্কে জেনে থাকে তখন চিহ্নিত করা সহজ হয়ে উঠে।

★আত্মসহানুভূতি - নিজের প্রতি সহানুভূতি ধারণের মাধ্যমে সেলভ সারভিং বায়াস কমানো সম্ভব। আত্মসহানুভূতির ফলে কেউ ব্যর্থ হলে তার নিজের প্রতি উদারতা বাড়ে। ফলে সে তার ভিতরে চাপা মানবতা অনুভব করতে পারে যে প্রতিটা মানুষেই কখনো না কখনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। এটাই সত্য।


লেখকঃ আনিকা আনতারা প্রধান
 

0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
মানুষিক রোগ বলতে আমাদের দেশের মানুষ সরাসরি পাগল ভেবে বসেন, আমাদের শরীরে যেমন বিভিন্ন রকম জীবণু থাকে ঠিক তেমনি আমরা সবাই কোনো না কোনো ছোটোখাটো মানুষিক ব্যাধিতে আক্রান্ত । যা নিরাময় যোগ্য । তাই আমি সরাসরি মানুষিক রোগ না বলে বলবো একটি বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট ।

ইংলিশে এই ধরণের চারিত্রিক বৈশিষ্টের মানুষদেরকে NARCIST বলে। মনে করা হয় Narcist নাম একজন গ্রিক দেবতা ছিলেন , সে দেখতে অনেক সুন্দর ছিলেন, তাই তিনি সব সময় নিজের সুন্দরের প্রশংসা করতে বেশি পছন্দ করতেন। তিনি ভাবতেন তার থেকে সুন্দর আর কেউ নেই, তিনিই সব থেকে সুন্দর । NARCIST দেবতার নাম অনুসারে এই ধরণের চারিত্রিক বৈশিষ্টকে NARCISM বলে। আর সাইকোলজির ভাষায় একে NARCISM Complexity বলে । অর্থ্যাৎ এই ধরণের কমপ্লেক্সিটিতে যারা ভোগেন তারা নিজেদের দোষ দেখতে পারেন না । নিজের প্রতি অনেক বেশি পসিটিভ থাকেন, ফলে নিজের দোষ ও স্বীকার করতে চান না ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,199 বার দেখা হয়েছে
19 অক্টোবর 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 590 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
1 উত্তর 194 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,366 জন সদস্য

61 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 60 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Israt Jahan Taha

    130 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...