উকুন শুধুমাত্র মাথার চুলেই থাকে এমনটা ভুল। বগল, পিউবিক অঞ্চল এবং অন্যান্য জায়গার চুলেও উকুন থাকতে পারে।। আর সবার মাথার চুলে উকুন থাকবে এমনটাও নয়৷
ইতিমধ্যে উকুন আছে এমন কারোর সংস্পর্শে আসলে বা এমন করো ব্যবহৃত বালিশ - বিছানা, কাপড় ব্যবহারে উকুন ছড়াতে পারে। অপরিচ্ছন্নতা, চুলের যত্ন না নেওয়া সেই উকুনের বংশবৃদ্ধি এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করে।
মাথার চুল ব্যাতিত আমাদের দেহের অন্য কোথাও উকুন পাওয়া যায় না বা খুব বেশি দেখা যায় না এক পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
১। চুলের ঘনত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা: মাথার চুলের ঘনত্ব বেশি এবং চুল তুলনামূলক লম্বা হয়ে থাকে ফলে একেবারে গোড়া থেকে চুল সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে যায়। এর ফলে একই সাথে উকুন আশ্রিত হিসেবে সহজেই থেকে যেতে পারে এবং বংশ বিস্তার করতে পারে।
২। চুলের স্থায়িত্বকাল: মাথার চুল বাদে শরীরের অন্যান্য স্থানের চুলের স্থায়িত্ব কাল এবং ঘনত্ব খুবই কম। বগল এবং নাভির নিচের চুল নিয়মিত সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করা হয়। এতে এই অংশে চুল কখনই তেমন বড় হতে পারে না। অন্যদিকে, উকুনের ডিম থেকে বাচ্চা জন্মাতে প্রায় ৬-৯ দিন সময় প্রয়োজন হয়। তাই অবাঞ্ছিত এই চুলে উকুন তেমন একটা আশ্রয় এবং বংশবিস্তারের সুযোগ পায় না৷
এছাড়াও, বগল এবং নাভির নিচের অংশের তাপমাত্রা এবং পরিবেশ উকুনের জন্য খুব একটা অনুকূল না। অন্যদিকে, মাথার চুল, চামড়া সহ অন্যান্য দিক বিবেচনায় তা উকুনের বাস, খাবার এবং বিস্তারের খুবই উপযোগী স্থান। ফলে দেহের অন্য অবাঞ্ছিত চুলে উকুন না পাওয়া গেলেও মাথায় ঠিক-ই পাওয়া যায়।
~ নাহিদ জাহান ভূঁইয়া।