প্রথমত ছবি আঁকায় অনেক রকমের রঙ ব্যবহৃত হয়। যেমন,
- প্যাস্টেল রঙ
- পেন্সিল রঙ
- তেল রঙ
- জলরঙ
এগুলার একেকটা একেকভাবে বানানো হয়।
প্রথমেই যদি প্যাস্টেল রঙ এর কথায় আসি, যেটা দিয়ে কি না সবারই আঁকাআঁকির দুনিয়ায় হাতেখড়ি হয়, এই প্যাস্টেল রঙ তৈরি হয় মূলত মিহি দানাদান রঙ এর কণিকার সাথে আঠালো উপাদান (প্রাকৃতিক, প্রাণিজ বা মৎসজ) যুক্ত করে। প্যাস্টেল আবার কয়েক রকমের হয় যেমন: Oil pastel, Hard pastel, Soft pastel, Pen pastel, Chalk Pastel.
এর পরে আসি পেন্সিল রঙ এর কথায়। মুটামুটি বেসিক জানার পরে সাধারণত বিগেনার লেভেলের আর্টিস্টদের কাছে এই পেন্সিল রঙ জনপ্রিয়তা পায়। তবে অনেক প্রফেশনালরাও পেন্সিল রঙ ব্যবহার করে। পেন্সিল রঙ এ মূলত একটা কাঠের স্ট্রাকচারের ভিতরে মোম বা তেল যুক্ত রঙ ব্যবহার করে। খেয়াল করলে দেখবেন যে এটার শীষটা গ্রাফাইট পেন্সিলের চেয়ে নরম হয়। এতে মূলত রঙের কণিকা, মোম, রেজিন শক্ত হয়ে থাকার জন্য কিছু আঠালো উপাদান ব্যবহার করা হয়। তবে বাচ্চাদের জন্য বা সচরাচর যে পেন্সিল রঙ বাজারে পাওয়া যায় ওইগুলোতে রঙ এর কণিকা তুলনামূলক কম থাকে। আর প্রফেশনাল আর্টিস্টরা যে পেন্সিল রঙ ব্যবহার করেন সেটায় রঙ এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে।
তারপর আসি তেল রঙ এ। এটাতে বর্ণ কণিকাগুলো বিভিন্ন রকমের শোষক তেল এর সাথে মেশানো হয়। বেশিরভাগক্ষেত্রেই মেশানো হয় তিসির তেলের সাথে, তাছাড়া আখরোট, পোস্তবীজ, সূর্যমুখী, তারপিন ও কুসুম ফুলের তেলও ব্যবহার করা হয়। এরপর এগুলো রোলার দিয়ে পিষা হয়। এর পরে রঙ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
এর পরে হচ্ছে জল রঙ। এক্ষেত্রে মূলত পানিতে দ্রবণীয় বর্ণকণিকা ব্যবহৃত হয়। এই কণিকাগুলোর সাথে ডিস্টিল ওয়াটার, আঠালো কিছু উপাদান আর রঙ মসৃণ করার কিছু কিছু উপাদান যোগ করে ঘণ পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করা হয়।