হ্যাঁ। প্রভাব নেই বললে ভুল হবে। তবে তুলনামূলকভাবে কম।
অভিকর্ষজ ত্বরণ তৈরি হয় অভিকর্ষ বলের প্রভাবে।
অভিকর্ষ ত্বরণ ব্ল্যাকবোর্ডে বা হোয়াইটবোর্ডে লেখার গতির উপর খুব কম প্রভাব ফেলে। লেখার গতি নির্ভর করে বেশিরভাগই লেখকের দক্ষতা, হাতের গতি এবং লেখার সরঞ্জামের উপর। অভিকর্ষ ত্বরণ শুধুমাত্র পতনের গতি প্রভাবিত করে, লেখার গতিকে মূলত নয়। তবে পারিপার্শ্বিকভাবে এটি প্রভাব ফেলে।
লেখার সময়, লেখকের হাতকে শূন্যে ভাসিয়ে বোর্ডে সরঞ্জাম দিয়ে লেখেন, ফলে লেখককে প্রতিনিয়ত উক্ত ত্বরণ তথা বলের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। এতে করে লেখক (সাধারণ) কিছুটা হাঁপিয়ে যান, যা লেখার গতিকে প্রভাবিত করে। একই সাথে সরঞ্জামের (মার্কার) নিজস্ব ওজন রয়েছে (যদিও তা খুবই নগণ্য), ফলে বস্তুটিকে ওপরে তুলে লিখতে গেলে মার্কারকে নড়াতে( উপরে নিচে ডানে বামে) বারবার বল প্রয়োগ করতে অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে। এতে করে লেখার গতিতে তারতম্য ঘটে।
সুতরাং, ব্ল্যাকবোর্ডে বা হোয়াইটবোর্ডে লেখার গতির উপর অভিকর্ষ ত্বরণের প্রভাব খুবই কম।
এখন, যদি অভিকর্ষ বল না থাকলে, ব্ল্যাকবোর্ডে বা হোয়াইটবোর্ডে লেখার গতি খুব বেশি বেড়ে যেত। কারণ, অভিকর্ষ বল না থাকলে, লেখকের হাত ব্ল্যাকবোর্ডে বা হোয়াইটবোর্ডে স্পর্শ করলেও, লেখার সরঞ্জাম ব্ল্যাকবোর্ডে বা হোয়াইটবোর্ডে স্পর্শ করলেও, সেগুলি নিচে নামতে পারত না। তাই, লেখকের হাত এবং লেখার সরঞ্জামের গতি কোনও বাধা ছাড়াই চলতে পারত।
এছাড়াও, অভিকর্ষ বল না থাকলে, লেখার সরঞ্জামের ওজন শূন্য হয়ে যেত। তাই, লেখকের হাতের গতি লেখার সরঞ্জামের ওজন ও লেখকের হাতের ওজন দ্বারা প্রভাবিত হত না। তিনি কোনো বাহ্যিক বাধা পেতেন না।
ফলস্বরূপ, অভিকর্ষ বল না থাকলে, ব্ল্যাকবোর্ডে বা হোয়াইটবোর্ডে লেখার গতি অনেক বেশি বেড়ে যেত। তবে, এটি শুধুমাত্র একটি কাল্পনিক পরিস্থিতি। কারণ, পৃথিবীতে অভিকর্ষ বল ছাড়া কোনও স্থান নেই।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।