এ সিন্ড্রোমের নামকরণ করা হয়েছে বেথেলহামের সাধু লাজারুস-এর নামে, যাঁকে মৃত্যুর চারদিন পর
অনেকটা এভাবেই পুনর্জীবন দান করেছিলেন যীশু।
গত একশ’ বছরে Lazarus Syndrome-এর মাধ্যমে পুনর্জীবন প্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা ৩৯, যার সর্বশেষ উদাহরণ উপরের মি.হোক। এ ৩৯ টি ঘটনার মধ্যে ২৫ টিই ঘটেছে ১৯৮২ সালের পরে। এবং মি. হোক ছাড়াও এ বছরেরই ফেব্রুয়ারীতে মাইকেল উইলকিনসন নামক ২৩ বছরের যুবককে মৃত ঘোষণা করার আধঘণ্টা পর বেঁচে ওঠে। এছাড়া ২০০৬ সালে মিসৌরীতে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী আত্মহত্যার জন্যে প্রচুর ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করার ১৭ মিনিট পর সে চোখ খুলে জানায় তার ক্ষুধা লেগেছে। তার বাবা-মা হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন তাঁদের ‘মৃতা’ কন্যা আধশোয়া হয়ে ব্রেড খাচ্ছে।
Lazarus Syndrome-এর সুষ্ঠু কারণ বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেননি। কোমা, কিংবা অন্যান্য প্রায়-মৃত সিন্ড্রোমের সাথে এর মূল পার্থক্য হচ্ছে, এক্ষেত্রে রোগীকে প্রায় মৃত নয়, মৃত বলেই ঘোষণা করা হয়। হৃৎপিন্ডের পাম্পিং বন্ধ হয়ে যায়, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্রেনও মৃত্যুবরণ করে। অন্য একজন সাধারণ মৃত মানুষের সাথে তার কোন পার্থক্য থাকেনা।
Lazarus Syndrome-এর কিছু কারণ বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন, যদিও কোনটিই শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামত হল, ভিক্টিমের বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎপিন্ড কোনভাবে এপিনেফ্রিন হরমোনের প্রভাবে পুনরায় শক্তি অর্জন করে, এবং পাম্পিং শুরু করে। উল্লেখ্য, এপিনেফ্রিন হরমোন হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তনালীর মধ্য দিয়ে এয়ার প্যাসেজ তৈরী করে ঠিকভাবে রক্ত চলাচলের জন্যে।