"Over conference" ভালো নয় কেন?? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
257 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (230 পয়েন্ট)
"বর্তমান উক্ত প্রশ্নটি আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে করেছিল। উত্তরের আমি কিছুই বলতে পারি নি "

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (3,220 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
জীবনে উন্নতির অন্যতম হাতিয়ার ইতিবাচক চিন্তা ও আত্মবিশ্বাস। এই বলে বলীয়ান লোকজন যেকোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য পান। তবে অতি আত্মবিশ্বাস ভালোর বদলে বিপদ ডেকে আনে। শঙ্কা বাড়ায় ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) খবরে বলা হয়, যাঁরা মনে করেন, বুদ্ধিমত্তা স্থির বিষয় এবং এটা পরিবর্তনযোগ্য নয়, তাঁরাই অতি আত্মবিশ্বাসী হন।

গবেষণাকর্মের অন্যতম লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক জয়েস আরলিংগার বলেন, ‘ওই ধরনের লোক (যাঁরা মনে করেন, বুদ্ধিমত্তা পরিবর্তনশীল নয়) সহজ কাজে মনোনিবেশ করে তাঁদের অতি আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটান। বিপরীতে কাজের কঠিন অংশে খুব কমই সময় ব্যয় করেন।’

‘সামান্য বেশি আত্মবিশ্বাস সহায়ক হতে পারে। তবে অতি মাত্রায় আত্মবিশ্বাস লোকজনকে ভুল সিদ্ধান্তে চালিত করতে পারে এবং শেখার সুযোগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।’

গবেষকদের মতে, যেসব লোক মনে করেন, বুদ্ধিমত্তা বাড়ানো যায়, তাঁরা কোনো কাজের কঠিন অংশ নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন। এভাবে তাঁদের সামর্থ্যের চেয়ে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বেড়ে যায়।

গবেষকরা দেখেছেন, অতি আত্মবিশ্বাস ব্যক্তিগত গাড়ির চালক, মোটরসাইকেলচালক, চিকিৎসক ও আইনজীবীদের সাধারণ একটি সমস্যা।

‘আমরা জন্মাই ডানা নিয়ে, কিন্তু কেন সারাজীবন হামাগুড়ি দিয়ে চলতে চাই?’ জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ রুমিও তাঁর উক্তিতে মানুষের চরম সাফল্য অর্জন করতে পারা, বা না পারার পেছনে আত্মবিশ্বাসকেই মুখ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন।

আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। এর প্রভাবে মনে এক নতুন সূচনার আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু এর প্রভাব সবসময় বিরাজমান কেন! কেনই বা মুখ্য ভুমিকা পালন করছে? এর প্রয়োজনীয়তাই বা কী মানুষের জীবনে? প্রশ্ন অনেক রকম হতে পারে, কিন্তু উত্তর একটাই, আর তা হলো আত্মবিশ্বাস মানুষের মাঝে তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটায়, যা নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ, মনোবল বৃদ্ধি, সাহস এবং আত্মমর্যাদা তৈরিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে?   

ক্যারলি টাকাক্স এর কথা মনে আছে? যে নিজের একমাত্র হাতকে পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ শুটিং হাত বানিয়েছিলেন। দুর্ঘটনা যার স্বপ্ন পুরোনের বাঁধা হতে পারেনি। বরং প্রতিকূল সমাজ তাকে নিজের প্রতি আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করে। তার কাছে দুটি পথ খোলা ছিল; এক নিজের বেস্ট শুটিং হাত হারানোর শোকে কাতর হয়ে সবার থেকে আলাদা নিজেকে লুকিয়ে রাখা এবং অপরটি হলো নিজের লক্ষ্য অর্জনে অটল থাকা। তিনি দ্বিতীয় পথটি বেছে নিলেন এবং পৃথিবীর বুকে পরপর দুইবার অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিয়ে নিলেন।

আত্মবিশ্বাস তাঁর পথকে বরং সহজ করে দেয়। নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ, মনোবল ধরে রাখা এবং সাহস সঞ্চার করা আত্মবিশ্বাসের বদৌলতেই সম্ভব হয়েছিল তাঁর পক্ষে।

পিথাগোরাস বলেছিলেন, ‘যে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, সে কখনো স্বাধীন নয়’। তাহলে বলাই যায়, স্বাধীন হতে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কথায় আছে, অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। ঠিক তেমনি আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত থাকা ভালো না।


একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা বলি, এক ছেলে অধিক আত্মবিশ্বাসের জোরে ভোরে বাসা থেকে বের হলো লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে, পিকনিকে যাবে। সেদিনের জন্য অনেক পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছিল। তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে গেলো তখন, যখন অস্ত্রধারীরা তার গলা এবং পেটে  চাপাতি ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুট করে চলে গেলো, কিন্তু ওর কিছুই করার ছিল না। তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস যেন নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে হয়, সেটা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে।

আর হ্যাঁ, অভিজ্ঞতাটি আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া। তবে, আঘাতে জরাজীর্ণ না হয়ে বরং তার থেকে শিক্ষা নেওয়া ভালো। অপরাহ উইনফ্রে বলেছেন, ‘আঘাতকে জ্ঞানে রূপান্তরিত কর’।              

আত্মবিশ্বাস মানুষের আত্মমর্যাদাবোধ বৃদ্ধি করে। আত্মমর্যাদা হলো, নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস এবং সম্মানবোধ তৈরি হওয়া। যে ব্যক্তি নিজেকে সম্মান করতে জানে না, সে অন্য মানুষকেও সম্মান করতে পারে না।


পিথাগোরাস বলেছিলেন, ‘সবার আগে নিজেকে সম্মান করো’। তবে দিনের পরে যেমন রাত নামে, ঠিক তেমনই অধিক আত্মবিশ্বাস মানুষের মাঝে অহংকার তৈরি করে। অহংকার হলো নিজের মেকি শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে অন্যকে অসম্মান করা।

ভারতের একজন টিভি শোর পরিচালক বলছেন, আমি ছোটবেলায় আমার বাড়িতে টিভি না থাকায় আমি অন্য বাড়িতে টিভি দেখতে যেতাম, আমার বাবা অনেক পিড়াপিড়ি করে নিষেধ করার পরও না মানায় আমার বাবা একদিন আমাকে বলছেন, দেখ বাবা তুমি এমন কাজ কর, যাতে অন্য কেউ তোমাকে টিভিতে দেখে। মানে নিজের আত্মমর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন পিতা। তাই একথা বলাই যায়, আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন মতো থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায়, আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণ অনুভূতির ব্যাপার। অনুভূতির হরেক পদ থাকলেও একটি-অপরটির সহায়ক। আত্মবিশ্বাসের জোরে আরো একটি অনুভূতির সৃষ্টি হয়, সাহস।

উইনস্টল চার্চিল বলেছেন, ‘সাফল্য স্থায়ী নয়, ব্যর্থতা মানেই মৃত্যু নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে সাহস ধরে রাখা’। তবে, নিজের মনে সাহসের সঞ্চার ঘটবে তখনই, যখন নিজের উপর আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। আত্মবিশ্বাসের বদৌলতে মানুষকে নিজের ক্ষমতার উর্ধে যেতেও দেখেছি আমরা। যখন পেং সুইলিনের মতো মানুষ নিজের শরীরের অর্ধেক অংশ হারানোর পরেও আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ় মনোবলের জোরে এখনো টিকে আছেন, সুস্থ আছেন।

নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা অনেকটা খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো ব্যাপার। কিন্তু একবার এর নাগাল পেলে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানো তার পক্ষে নেহাৎ ডাল-ভাত।

লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগ,

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
+1 টি ভোট
করেছেন (1,370 পয়েন্ট)
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতিকারক হতে পারে কারণ এটি দুর্বল সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে পরিচালিত করতে পারে, কারণ যারা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী তারা তাদের ক্ষমতাকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করতে পারে বা একটি পরিস্থিতিতে জড়িত ঝুঁকিগুলিকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। এর ফলে বেপরোয়া বা দায়িত্বজ্ঞানহীন ক্রিয়া হতে পারে, যা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির পাশাপাশি অন্যদের জন্যও নেতিবাচক পরিণতি ঘটাতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি তাদের ড্রাইভিং ক্ষমতার উপর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়, তাহলে তারা চাকার পিছনে থাকাকালীন অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে পারে, যেমন দ্রুত গতি বা ট্র্যাফিক সিগন্যালগুলিতে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়া। এতে দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস পেশাদার বা একাডেমিক সেটিংসেও ক্ষতিকারক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি তাদের ক্ষমতা বা জ্ঞানের উপর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়, তবে তারা অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য বা পরামর্শ নেওয়ার সম্ভাবনা কম হতে পারে, যা তাদের অগ্রগতিতে বাধা দিতে পারে এবং ভুলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, স্বাস্থ্যকর স্তরের আত্মবিশ্বাসের সাথে পরিস্থিতিগুলির সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে ইচ্ছুক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় ক্ষেত্রেই ফলাফল উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 615 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 354 বার দেখা হয়েছে
08 ফেব্রুয়ারি 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sadman Sakib. (33,350 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,592 জন সদস্য

37 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 36 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...