খেলোয়াড় ভালো খারাপ হিসেব করে জার্সি নাম্বার দেওয়া হয়, বরং পজিশনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়(সবসময় যে খুব কড়াকড়ি ভাবে এসব মেনে চলতে হয় এমন না)।
গোল কিপারের জার্সি নাম্বার থেকে ১ বা ১২,১৩। ১২, ১৩ এর মানে হচ্ছে, সেই গোলকিপার যদি ব্যকআপ হিসাবে খেলে তাহলে ১১ জনের পরে গিয়ে তাকে জার্সি নাম্বার দেওয়া হয়। কেউ একবার যেই জার্সি নাম্বার দিয়ে খেলা শুরু করে, দেখা যায় সে সেই নাম্বারই পরবর্তীতে সবসময় ব্যবহার করে। যেমন, জার্মানির ম্যানুয়াল নয়ার এর জার্সি নাম্বার ১, মেক্সিকোর ওচোয়ার জার্সি নাম্বার ১৩।
ডিফেন্ডারদের নাম্বার থাকে ২-৫। যেমন, স্পেন এর জেরহার্ড পিকে এর জার্সি নাম্বার ছিল ৩, সার্জিও রামোস এর ৪। এরাও কিন্তু নিজ নিজ পজিশনে বিশ্ববিখ্যাত।
৬,৭,৮,১০,১১ এই নাম্বারগুলা দেওয়া হয় মিডফিল্ডারদেরকে। আর, ৯ নাম্বার দেওয়া হয় যে ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলে তাকে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, খেলোয়াড় ভালো খারাপ হওয়ার সাথে জার্সি নাম্বার এর আপাত কোন সম্পর্ক থাকে না। তবে, যেহেতু মিড এবং ফরোয়ার্ড পজিশনে যারা খেলে তারা বেশি বেশি গোল করার সুযোগ পায়, তাই তারা মানুষের নজরেও বেশি পড়ে এবং ভালো খেলোয়াড় হিসেবে বেশি সমাধৃত হয়।