ডোমেইন নামের পূর্বে www ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক না | তবে বর্তমানে এটি বেশি জনপ্রিয় হওয়ায় প্রায় সব ওয়েবসাইট এর রক্ষনাবেক্ষক কে এটা তাদের ওয়েবসাইট এ ব্যবহার করতে দেখা যায় |
তবে এটা যে একটা সাব-ডোমেইন হিসেবে কাজ করে সেটা www এর জনপ্রিয়তার কারণে আমরা ভুলে গেছি | ডোমেইনের নাম মূলত শুরু হয় ডান দিক থেকে, এভাবে বামে যা কিছু থাকে সবই সাব-ডোমেইন, মানে আমরা যে .com .org .net ইত্যাদি ব্যবহার করি সেটাই মূলত root (মূল) ডোমেইন | যার কারণে এদের TLD বা Top Level Domain বলা হয় |
ইন্টারনেট এ ডোমেইন নামের পূর্বে www ছাড়াও আরো সাব-ডোমেইন ব্যবহার হয়ে থাকে - smtp, ftp, mail ইত্যাদি | উদাহরণ - mail.google.com, smtp.gmail.com, ftp.dell.com
mail সাব-ডোমেইন দিয়ে মূলত কোন ওয়েব মেইল এর ঠিকানা কে বোঝানো হয়, smtp দিয়ে বোঝানো হয় ওয়েব মেইল সার্ভার এর ঠিকানা, ftp দিয়ে বোঝানো হয় ফাইল ডাউনলোডের ঠিকানা | ইন্টারনেট এর শুরুর দিকে ইমেইলই রাজত্ব করতো, তখন ইন্টারনেট এ কাজ বলতে সবাই ইমেইল এর কাজকেই বুঝতো | সেই সময় ওয়েব সার্ভার (যেখানে ওয়েবসাইট, ইমেইল বা ফাইল রাখা থাকে) ওয়েবসাইট/ওয়েবপেইজ এর ঠিকানা কে আলাদা করার জন্য www ব্যবহার শুরু করে |
তবে একই ওয়েবসাইট এর ঠিকানা www ছাড়া বা সহ হতে পারে | সেক্ষেত্রে ওয়েব মাস্টারকে (website admin/master) সার্ভার সেটিং থেকে মূল ওয়েব ঠিকানায় (www ছাড়া বা সহ যেটিকে তিনি মূল হিসেবে সেটআপ করেন সেটি) রিডাইরেক্ট (redirect) করার জন্য ৩০১ রিডাইরেক্ট ব্যবহার করবেন | ধরি ওয়েব মাস্টার mywebaddress.com কে মূল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি সার্ভার এ সেটআপ এমন করবেন যেখানে কেও www.mywebaddress.com টাইপ করলেও যেন mywebaddress.com এই ঠিকানাতেই যায় | তিনি এটি না করলে কিন্তু ওই ঠিকানায় যাবেনা | এখন প্রায় সবাই এটা করে রাখেন বলে আমার সেটা বুঝতে পারিনা, যেকোন একটা দিলেই ওয়েবসাইটটা চলে আসে |
তবে www সহ ঠিকানাকে ওয়েব মাস্টার যদি মূল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে ওয়েবসাইট এর জন্য CDN ও Cookie সেটআপ অনেক সহজ হয় | এক্ষেত্রে প্রতিবার যখন www সহ কোন ওয়েবসাইট লোড হচ্ছে তখন অতিরিক্ত 4 বাইট (byte) - www এর জন্য 3 byte আর ডট (.) এর জন্য 1 byte ব্যান্ডউইডথ খরচ হচ্ছে | ব্যবহারকারীর দিক থেকে এটি ব্যাপার মনে না হলেও ওয়েব মাস্টার এর দিক থেকে এটি ব্যাপার হতে পারে যদি সেই ওয়েবসাইট টি দিনে কয়েক লক্ষ্য বা কোটি বার ভিসিট হয়ে থাকে | ফলে তার ব্যান্ডউইডথ বেশি খরচ হচ্ছে, মানে হোস্টিং এর খরচ বেড়ে যাবে | তাছাড়া, ব্যবহারকারী হিসেবে কিন্তু আপনার বেশি টাইপ করা লাগছে জন্য বিরক্ত হতে পারেন | আবার www বাদ দেয়া ঠিকানাকে ওয়েব মাস্টার যদি মূল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে উল্টো ঘটনা ঘটে |
তবে সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে www সহ বা বাদে তেমন পার্থক্য নেই |