যে সব ছবি নাসা প্রকাশিত করেছে তার প্রতিটাই hubble telescope এর দ্বারা আগেই তোলা হয়েছে। এখন james webb space telescope দিয়ে সেসব ছবিই high resolution এ তোলা হয়েছে।তাহলে এখন এতো hipe কেন? জনগন কি hubble telescope এর ব্যপারে জানত না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
590 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (140 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (7,560 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

James web space telescope এর ছবি অনেক স্পষ্ট। এর আগে Hubble telescope দিয়ে যে ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো সেগুলো এতটা স্পষ্ট ছিল না। আর James web space telescope এর ক্ষেত্রে সেটির মাধ্যমে আরো ভালো করে জানা যাবে মহাবিশ্বের ইতিহাস।

 

এক হাজার কোটি ডলার মূল্যের এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল গত বছর ২৫শে ডিসেম্বর। মহাকাশে সুপরিচিত হাবল টেলিস্কোপের জায়গা নিতে তৈরি করা হয় এই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ।

এই টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্র আকাশে অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ করবে। তবে এর প্রধান দুটি লক্ষ্য রয়েছে। একটি হল মহাকাশে ১৩৫০ কোটি বছর আগে একেবারে প্রথম জন্ম নেয়া তারাগুলোর আলোর বিচ্ছুরণ কীভাবে ঘটেছিল তার ছবি নেয়া; এবং দ্বিতীয়টি হল দূরের গ্রহগুলো মানুষের বাসযোগ্য কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করা। - বিবিসি বাংলা 

 

জেমস ওয়েবের অন্যতম কাজ শিশু মহাবিশ্বকে আরও ভালোভাবে জানার চেষ্টা করা। হাবল যেখানে বিং ব্যাং-এর ৫০০ মিলিয়ন বছর পরের আলো ধরতে পারত, জেমস ওয়েবের সেখানে ২০০ মিলিয়ন বছর পরবর্তী আলো ধরতে পারার কথা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শিশু মহাবিশ্বের প্রথম দিকের দানব নক্ষত্রগুলো হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামে তৈরি। পরবর্তীতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে এদের মৃত্যু হয়। এ সময় তৈরি হয় পর্যায় সারণির ভারী সব পদার্থ। এমনিতে বর্তমানে আমরা যেসব তরুণ নক্ষত্রদের দেখতে পাই, এসব নক্ষত্রে এত ভারী পদার্থ তৈরি হওয়ার কথা না। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগেকার দানব নক্ষত্রদের ধ্বংসাবশেষ ওসব ভারী পদার্থের চিহ্ন-ই বর্তমানের তরুণ নক্ষত্রগুলোর বুকে শনাক্ত করা যাচ্ছে। এই ব্যাপারটা যাচাই করে দেখা যাবে জেমস ওয়েবের 'চোখ' দিয়ে। পাশাপাশি, জানা যাবে শিশু মহাবিশ্বের ব্যাপারে আরও বিস্তারিতভাবে।

পাশাপাশি, শিশু মহাবিশ্বে তৈরি হওয়া প্রাচীন গ্যালাক্সিদের খোঁজও পাওয়া যাবে জেমস ওয়েবের চোখে। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে মহাবিশ্বের ক্রমপরিবর্তনের ব্যাপারে। বোঝা যাবে, গ্যালাক্সিদের মধ্যে এত বৈচিত্র্য কীভাবে এলো। এছাড়াও ডার্ক ম্যাটার, মানে গুপ্তবস্তুর খোঁজ করবে জেমস ওয়েব। গ্র্যাভিটেশনার লেন্সিং ব্যবহার করে দূর, বহুদূরের গ্যালাক্সির ঘূর্ণন পরীক্ষা করে বোঝার চেষ্টা করবে, সেসব জায়গায় গুপ্তবস্তু আছে কি না, থাকলে সেসব গ্যাল্যাক্সির ওপরে কীরকম প্রভাব ফেলছে।

সৌরজগতের বাইরে প্রাণের উপযোগী গ্রহে প্রাণের সন্ধানও করবে জেমস ওয়েব। এমনকি সৌরজগতের ভেতরে নেপচুন এবং ইউরেনাসকেও আরো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবে। তৈরি করবে এদের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার মানচিত্র (মানে, কোথায় কীরকম তাপমাত্রা সাধারণত থাকে)। তালিকা করবে এদের মধ্যকার রাসায়নিক পদার্থদের। জানতে চেষ্টা করবে, এরা একে অন্যের থেকে এবং এদের প্রতিবেশী শনি ও বৃহষ্পতি থেকে কতটা ভিন্ন।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, আধুনিক প্রযুক্তিবলে জেমস ওয়েব হাবলের যোগ্য উত্তরসূরী হবে। নিকট ভবিষ্যতে জ্যোতির্বিজ্ঞান, মহাবিশ্ব তত্ত্ব ইত্যাদিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। - বিজ্ঞানচিন্তা

 

আর স্বাভাবিক ভাবেই James web space telescope এর ছবিগুলো বেশি স্পষ্ট হওয়ার ফলে মানুষের আগ্রহ ঐটাতেই বেশি।

আপনি উপরের ছবিতে দেখুন প্রথমটি Hubble telescope এর আর পরেরটা James web space telescope এর। এখানে দ্বিতীয়টি বেশি স্পষ্ট তাই এখান থেকে গবেষণাও সহজ হবে।

0 টি ভোট
করেছেন (8,580 পয়েন্ট)
হাবলের ইমেজগুলোতে জেমস ওয়েবের মতো এতো ডিটেইলস নেই। তাছাড়া জেমস ওয়েব কাজ করে ইনফ্রারেড রশ্মির সাহায্যে। এই ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা জানা যাবে, যা হাবলের পক্ষে সম্ভব না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 579 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 335 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 705 বার দেখা হয়েছে
11 সেপ্টেম্বর 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Amalendu Ghorai (140 পয়েন্ট)

10,853 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

855,448 জন সদস্য

71 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 71 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Jakiasultana53

    120 পয়েন্ট

  2. Luk8org

    100 পয়েন্ট

  3. 66bntop

    100 পয়েন্ট

  4. hello88caccncom

    100 পয়েন্ট

  5. Sci Knowledge Rafi

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...