১৯৬৫ সালে আর্নো পেনজিয়াস (Arno Penzias) এবং রবার্ট ইউলসন (Robert Wilson) নামে বেল ল্যাবোরেটরির দুই বিজ্ঞানী মাইক্রোওয়েভ ডিটেকটর নিয়ে কাজ করার সময় এক ধরনের রেডিয়েশন শনাক্ত করেন। এর উৎপত্তি সৌরজগতের বাইরে বলে মনে হয়। মাইক্রোওয়েভ ডিটেকটর যে দিকেই ধরা হোক না কেন (সব দিকেই) এই রেডিয়েশন পাওয়া যায়। এই রেডিয়েশন অতিমাত্রায় লাল বিচ্যুতি (Red Shift) দেখায়।
প্রায় একই সময়ে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ বব ডিক (Bob Dicke) এবং জিম পিবলস একই ধরনের রেডিয়েশন সনাক্ত করেন। এই রেডিয়েশন হল সেই রেডিয়েশন যা গ্যামো ধারনা করেছিলেন। একে আমরা এখন বলি কসমিক মাইক্রোওয়েব ব্যাকগ্রাউন্ড (Cosmic Microwave Background) বা কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন।
এই রেডিয়েশনের ফোটনগুলো সেই মহাবিশ্বের প্রথম বয়সে উৎপন্ন। এরপর মহাবিশ্ব বহুগুণ সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে ফোটন গুলো অতিমাত্রায় লাল বিচ্যুতি দেখায়।
১৯৮৯ সালে COBE (COsmic Background Explorar) স্যাটেলাইট অতি সুক্ষ্ণতার সঙ্গে CMB এর তাপমাত্রা মাপে ২.৭২৫ K যা সব দিকে এবং সব স্থানে একই।
১৯৯৮ সালে বেলুনের সাহায্যে দুটি পরীক্ষা চালানো হয় BOOMERANG এবং MAXIMA. তবে CMB সম্পর্কে ভালভাবে বোঝা যায় ২০০১ সালে NASAর পাঠানো WMAP (পড়া হয় ডব্লিউ ম্যাপ, Wilkinson Microwave Anisotropy Probe) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। WMAP এর ডাটা থেকে জানা যায় CMB রেডিয়েশনের তাপমাত্রা সবদিকে এবং সব স্থানে প্রায় এক। স্থান ভেদ 200μk or 2x10-4 পর্যন্ত তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা যায়। এই ক্ষুদ্র পার্থক্য টুকু মনে রাখা প্রয়োজন কারন এই পাথক্য মহাবিশ্বের গঠনে খুব গুরুত্ব বহন করে।