কোন ভৌত ব্যবস্থায় বিদ্যমান বিশৃঙ্খলার মাত্রাকে এনট্রপির সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। কোন প্রক্রিয়ায় আগাগোড়াই যদি তাপীয় সাম্যাবস্থা সংরক্ষিত থাকে তাহলে সেখানে এনট্রপির মানও অপরিবর্তিত থাকে। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় স্বীকার্যে বলা হয়েছে যে, কোনো বিক্রিয়াতে কখনোই মোট এনট্রপির মান হ্রাস পায় না। সহজভাবে বলতে গেলে, কোনো এক সিস্টেমের বিশৃঙ্খলাই হচ্ছে এন্ট্রপি। অর্থাৎ, সহজ অর্থে এনট্রপির মান বাড়বে বৈকি কমবে না ।
সহজ উদাহরনে ভাবা যাক, গরমের দিনে লেবুর শরবত বা ঠাণ্ডার দিনে চা বা কফি আমরা কে না খাই । শরবতে বা চায়ে চিনি গুলিয়ে নেওয়ার পরে কিন্তু সাধারন অর্থে আর চিনি আলাদা করা সম্ভব না । আপনি হয়ত কোন রসায়ন ল্যাবে গিয়ে পুনরায় পরিস্রুত করে দ্রবন থেকে চিনি আলাদা করে ভাববেন যে এনট্রপিকে তো উল্টা দিকে চালনা করা সম্ভব । কিন্তু বাস্তবে কিন্তু তা হবে না , কারন ইনভার্স এনট্রপি অর্জনের জন্য কিন্তু আপনি ঠিকই কাজ করে এনট্রপি বাড়িয়েছেন । গোলমেলে মনে হলে সিগারেটের কথা ভাবুন । সিগারেট খাওয়ার পরে কি সিগারেটকে আর আগের অবস্থায় ফেরত আনতে পারবেন ? দুনিয়ার সবচিতে বড় ল্যাবরেটরিতে গেলেও কিন্তু তাকে আর আগের রূপে ফিরিয়ে আনা আমাদের পক্ষে অসম্ভব । একইভাবে আমাদের মহাবিশ্বেও নক্ষত্ররা প্রতিনিয়ত শক্তি উৎপন্ন করছে, গ্রহরা নক্ষত্রদের প্রদক্ষিন করছে , ব্লাকহোলরা গিলছে । আর এতে এনট্রপি বৃদ্ধি পাচ্ছে।আসলে বিগ ব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হয়ে চলেছে,মহাবিশ্বের তাপমাত্রাও হ্রাস পেতে পেতে একসময় পরমশূন্য তাপমাত্রা লাভ করবে,তখন মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু ঘটবে।বিগ ব্যাং এর পর থেকেই মহাবিশ্ব সৃষ্টি থেকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,অর্থাৎ বিশৃঙ্খলা (এনট্রপি) বাড়ছে,মহাবিশ্বের সিস্টেমটাই এমন।এই সিস্টেমে ধ্বংস হয়ে যাওয়া
কিছুকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না।