চাঁদ আকস্মিকভাবে গায়েব হলে পৃথিবীর কী হবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
236 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (5,760 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (2,990 পয়েন্ট)
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ এইটা আমাদের কারোরই অজানা নয়। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে যে চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে কি আর এমন পরিবর্তন হতো? কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই চাঁদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি না।

 

চাঁদ না থাকলে সর্বপ্রথম এবং অবশ্যই যে পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করবো সেটা হলো পৃথিবীর রাত। চাঁদ আছে বলেই আমরা রাতের বেলা জোছনার আলো পাই। রাতের বেলা সূর্যের আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে যার ফলে পৃথিবী রাতের বেলা আলোকিত হয়। কিন্তু এই চাঁদ না থাকলে আমাদের রাত হবে নিকষ কালো অন্ধকার।

তবে চাঁদ না থাকলে শুধু আমাদের রাতের জীবনে পরিবর্তন আসবে না। চাঁদ না থাকলে আমাদের দিনের ও পরিবর্তন ঘটবে।

চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে জোয়ার ভাটা হতো না। আমরা দেখতে পারতাম না সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ।

 

পৃথিবী যেমন চাঁদ কে মহাকর্ষীয় বলে টানে তেমনি চাঁদ ও পৃথিবীর উপর মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব খাটায়। চাঁদ এর মহাকর্ষীয় বলের কারনে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি কম থাকে। চাঁদের এই মাধ্যাকর্ষনজনিত বলের কারনে সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে এবং সেই পানিতে বাতাস লাগে ফলে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর আবর্তনের কারনে সমুদ্র যখন চাঁদের দিকে আসে তখন চাঁদের আকর্ষনে সেখানে উচ্চ জোয়ারের সৃষ্টি হয় তখন ঠিক তার বিপরীতে তখন নিম্ন জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এবং বাকি দুই পাশে তখন ভাটার সৃষ্টি হয়।পৃথিবী যেহেতু ঘুরছে তাই পৃথিবীর ঘূর্ণন এর কারনে জোয়ার ভাটার ও পরিবর্তন হয়। যদি চাঁদ না থাকে তাহলে বর্তমান উচ্চ জোয়ার গুলো প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের মতো হবে এবং নিম্ন জোয়ার গুলো আর নিম্ন হবে ফলে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে সেগুলোর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

তারপর প্রভাব পড়বে, পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির উপর। জানেন কিভাবে?
ধরুন, আপনি কোনো বিন্দুতে সজোরে যেভাবে ঘুরতে পারবেন, আপনার হাতে যদি কোনো ভারী বস্তু দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কি আপনি এইভাবে ঘুরতে পারবেন? অবশ্যই না। চাঁদ ঠিক আপনার হাতের ওই ভারী বস্তুর ভূমিকা পালন করছে। এখন আমাদের দিন - রাত মিলিয়ে হয় ২৪ ঘন্টা, কিন্তু চাঁদ যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে দিন - রাত মিলিয়ে হতো ৬ ঘন্টা । তাহলে বুঝতে পারছেন তো চাঁদের গুরুত্ব কতটা?

 

চাঁদ যদি না থাকতো তবে আমাদের ঋতুচক্রও পরিবর্তিত হত না। তখন কোথাও সারা বছর বৃষ্টি হতো, আবার কোথাও সারা বছর রোদ ; যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এছাড়াও চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে দুপুরে তাপমাত্রা থাকবে ৮০°F আর ভোরবেলায় প্রায় -৫১°C, যা প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান।

এছাড়া চাঁদ না থাকলে, পৃথিবী পুরোপুরি সূর্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যার ফলে সুনামি, জলোচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় দুর্যোগ পৃথিবীতে দেখা দিবে, এখন পৃথিবী আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।
0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)

দি চাঁদ আকস্মিকভাবে পৃথিবীর গায়ে বলে, তাহলে তা হবে একটি মহা বিপর্যয়। চাঁদের গড় ব্যাস ৩,৪৭৪ কিলোমিটার। এর ভর পৃথিবীর ভরের প্রায় এক-পঞ্চাশ ভাগ। চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে, তাহলে তা পৃথিবীর ভূত্বক, বায়ুমণ্ডল এবং জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক ক্ষতি করবে।

চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে, তাহলে তা নিম্নলিখিত প্রভাব ফেলতে পারে:

  • ভূমিকম্প: চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হবে। এই ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী হবে যে এটি পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশকে কাঁপিয়ে দেবে।
  • সুনামি: চাঁদের আঘাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশে বিশাল ঢেউের সৃষ্টি হবে। এই ঢেউগুলি এতটাই উঁচু হবে যে এটি সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেবে।
  • বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি: চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন এবং অন্যান্য গ্যাসগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে মহাকাশে বেরিয়ে যাবে। এর ফলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
  • জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস: চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রচুর পরিমাণে ধ্বংসস্তূপ তৈরি হবে। এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে, তাহলে তা পৃথিবীর ভবিষ্যৎকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেবে। এটি পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে পড়ে, তাহলে তা কতটা শক্তিশালী হবে?

চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে পড়ে, তাহলে তা হবে একটি ভূমিধ্বসের চেয়েও অনেক শক্তিশালী ঘটনা। চাঁদের ভর পৃথিবীর ভরের প্রায় এক-পঞ্চাশ ভাগ। এর মানে হলো, চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে, তাহলে তা পৃথিবীর ভরের প্রায় এক-পঞ্চাশ ভাগ শক্তি মুক্ত করবে। এই শক্তি এতটাই বেশি হবে যে এটি পৃথিবীর ভূত্বককে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেবে।

চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে পড়ার সম্ভাবনা কতটা?

চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে বলে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। চাঁদ এবং পৃথিবী একটি স্থির কক্ষপথে ঘুরছে। এই কক্ষপথের উপর কোনও বহিরাগত শক্তির প্রভাব না পড়লে, চাঁদ পৃথিবীর গায়ে পড়বে না।

তবে, কোনও বহিরাগত বস্তু, যেমন একটি গ্রহাণু বা ধূমকেতু, যদি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে, তাহলে তা চাঁদের কক্ষপথকে পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে চাঁদ পৃথিবীর গায়ে পড়তে পারে।

এছাড়াও, কোনও মহাজাগতিক ঘটনা, যেমন একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণ, যদি পৃথিবীর কাছাকাছি ঘটে, তাহলে তা চাঁদের কক্ষপথকে পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে চাঁদ পৃথিবীর গায়ে পড়তে পারে।

কিন্তু, এই ধরনের ঘটনাগুলি খুবই বিরল। তাই, চাঁদ যদি পৃথিবীর গায়ে পড়ে, তাহলে তা একটি মহা বিপর্যয় হবে, কিন্তু এর সম্ভাবনা খুবই কম।

চাঁদ যদি আকস্মিকভাবে পৃথিবীর গায়ে বলে, তাহলে তা পৃথিবীর জন্য একটি মহা বিপর্যয় হবে। এটি পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 763 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 245 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 241 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 621 বার দেখা হয়েছে
21 জুন 2022 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nishat Tasnim (7,950 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 463 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,711 জন সদস্য

53 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 51 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...