নক্ষত্র কখন পালসারে পরিণত হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
338 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (5,760 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
সুপারনোভা যখন বিস্ফোরিত হয় তখন এর কোর বা মূল বস্তুর চাপ এত বেশি হয় যে প্রোটন ও নিউট্রন একত্রিত হয়ে নিউট্রন গঠন করে, একে বলা হয় নিউট্রন নক্ষত্র। এর সাথে জড়িত থাকে অতিউচ্চ চৌম্বকক্ষেত্র। তাই এটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রেডিও পালস নির্গমন করে, একে পালসার বলা হয়। ১৯৬৭ সালে প্রথম নিউট্রন নক্ষত্র বা পালসারকে উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছিল।
0 টি ভোট
করেছেন (5,210 পয়েন্ট)
নক্ষত্রের কেন্দ্র ধসে পড়ার সাথে সাথে কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষণের ফলে এর ঘূর্ণন হার বৃদ্ধি পায়। তাই নতুন গঠিত নিউট্রন তারাগুলি প্রতি সেকেন্ডে কয়েক শতাধিক বার ঘোরে। কিছু নিউট্রন তারা ইলেকট্রম্যাগনেটিক বীম বিকিরণ করে যা তাদের পালসার হিসাবে শনাক্তযোগ্য করে তোলে।

ধন্যবাদ।
0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)

একটি নক্ষত্র তখন পালসারে পরিণত হয় যখন এটি তার জীবনের শেষে পৌঁছায়। একটি তারা তার জীবনের শুরুতে হাইড্রোজেনকে হিলিয়ামে রূপান্তর করে শক্তি উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়াটিকে ফিউশন বলা হয়।

যখন একটি তারা তার হাইড্রোজেন জ্বালানী শেষ হয়ে যায়, তখন এটি হিলিয়ামকে কার্বনে রূপান্তর করতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটিও ফিউশন দ্বারা পরিচালিত হয়।

যখন একটি তারা কার্বন জ্বালানী শেষ করে, তখন এটি আরও ভারী উপাদানগুলিকে রূপান্তর করতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং অবশেষে, একটি তারা লোহাকে রূপান্তর করতে শুরু করে।

লোহা হল সবচেয়ে ভারী উপাদান যা ফিউশন দ্বারা স্থিতিশীলভাবে উৎপন্ন হতে পারে। এর মানে হল যে একটি তারা লোহাকে রূপান্তর করার পরে, এটি আর শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না।

একবার একটি তারা লোহাকে রূপান্তর করতে শুরু করলে, এটি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় এবং সংকুচিত হয়। এই সংকোচন এতটাই তীব্র যে এটি একটি বিস্ফোরণের দিকে পরিচালিত করে। এই বিস্ফোরণকে সুপারনোভা বলা হয়।

Image of সুপারনোভা বিস্ফোরণOpens in a new windowbigyan.org.in

সুপারনোভা বিস্ফোরণ

 

সুপারনোভা বিস্ফোরণের ফলে একটি তারার কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। যা অবশিষ্ট থাকে তা হল একটি নিউক্লিয়াস যা একটি সাদা বামন, একটি নিউট্রন তারা বা একটি কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি করে।

যদি একটি সাদা বামন তার নিজস্ব মহাকর্ষের অধীনে সংকুচিত হয়, তবে এটি একটি নিউট্রন তারায় পরিণত হতে পারে। নিউট্রন তারাগুলি খুব ছোট এবং খুব ঘন। তাদের ব্যাস প্রায় পৃথিবীর ব্যাসের সমান, তবে তাদের ভর সূর্যের ভরের সমান বা তার বেশি হতে পারে।

নিউট্রন তারাগুলির একটি দ্রুত ঘূর্ণন থাকে। তারা প্রতি সেকেন্ডে কয়েকশো বা হাজার হাজার বার ঘুরতে পারে। এই ঘূর্ণনের কারণে, তারাগুলির একটি শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র থাকে। এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি তারার পৃষ্ঠ থেকে বিকিরণ করে, যা পালস নামে পরিচিত।

পালসারগুলি মহাবিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী বস্তুগুলির মধ্যে কিছু। তারা মহাবিশ্বের বিবর্তন এবং কৃষ্ণ গহ্বরের গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 274 বার দেখা হয়েছে
19 অক্টোবর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 276 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)
+13 টি ভোট
3 টি উত্তর 708 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 760 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 273 বার দেখা হয়েছে

10,807 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

513,057 জন সদস্য

83 জন অনলাইনে রয়েছে
39 জন সদস্য এবং 44 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...