ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বুল্ডারের অধ্যাপক নোয়েল লেনস্কির বলেছেন, প্রায় দুই হাজার বছর আগে তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয়। সে সময় ভালোবাসা আর প্রাচুর্যের আশায় ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হতো লুপারক্যালিয়া নামে এক উৎসব। তবে সে উদযাপন সংস্কৃতিতে ভালোবাসার লেশমাত্র ছিল না, ছিল আদিম বর্বরতা।
ভালোবাসা দিবসের নামকরণ ভ্যালেন্টাইনস ডে হওয়ার ক্ষেত্রে রোমানদের ভূমিকা রয়েছে। ২৭০ সালের কোনো এক সময় রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস সাম্রাজ্যের তরুণদের বিয়ে না করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সম্রাটের আদেশ অমান্য করে ভালোবাসার বাণী প্রচার শুরু করেন ভ্যালেন্টাইন নামে এক সাধু। সম্রাটের নির্দেশ অমান্যের শাস্তিস্বরূপ সাধু ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি, পোপ গেলাসিয়াস রোমানদের বর্বর উৎসবের ইতি টানা এবং সাধু ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করার উদ্দেশ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখকে ভালোবাসা দিবস ঘোষণা করেন। বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যা দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অবশ্য বর্তমান যুগে ভালোবাসা দিবসকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কৃতিত্বটা শুভেচ্ছা কার্ড তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান হলমার্কের। ১৯১৩ সাল থেকে হলমার্ক যখন ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার কার্ড তৈরি শুরু করে, মূলত তখন থেকেই দিবসটির কথা ব্যাপকভাবে প্রচার পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশে ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও এবং হিস্ট্রি ডটকম অবলম্বনে ।