সাধারণত পরীক্ষার খাতা কিংবা অন্য সব খাতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বাঁ পাশে এক স্কেল পরিমাণ জায়গা নিয়ে দাগ টেনে ফেলি। একে বলি মার্জিন। এখন ওই জায়গাটায় শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতায় নম্বর দিয়ে থাকেন। যেমন তুমি যদি দশে আট পাও, তবে তা যেমন মার্জিনের ভেতরে লেখা হয়, আবার কেন ২ নম্বর কম পেলে তাও লেখা হয়। এখন কিভাবে এলো এই মার্জিন।
তার জন্য তোমাকে কয়েক শ বছর পেছনে যেতে হবে। তখন ইঁদুরের খুব দাপট ছিল। বিশেষ করে ইউরোপে। ওরা খাতাপত্র যেখানে পেত সেখানেই দাঁত বসাত। দেখা গেল, দোকানদার খাতায় প্রতিদিনকার হিসাব লিখে রেখেছেন, মাস শেষে মেলাতে গিয়ে তো তুমুল গণ্ডগোল। কারণ ইঁদুর অনেকটাই কুচি কুচি করে ফেলেছে। এ থেকে রেহাই পেতে মানুষ ছোটমোট একটা বুদ্ধি করল, আর তা হলো বাঁ ধারে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রেখে লেখা শুরু করল। কারণ ইঁদুর কাটা শুরু করে খাতার এক পাশ থেকে। তাই পদ্ধতিটা মোটামুটি কাজে দিল। সেই যে মার্জিন টানা শুরু হলো, আজও তা চলছে। বইপত্রের ক্ষেত্রেও দেখবে চারপাশে বেশ কিছুটা জায়গায় কিছুই লেখা থাকে না ।