কারেন্ট প্রবাহের অবিচ্ছিন্ন পথকে বৈদ্যুতিক বর্তনী (Electric circuit) বলে। অন্য কথায়, যে পথ দিয়ে ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে ইলেকট্রিক সার্কিট বলে। একটি আদর্শ ইলেকট্রিক সার্কিটের নিম্নলিখিত অংশ রয়েছে।
(১) উৎস
(২) বৈদ্যুতিক লোড (Electric load) : বাতি, ফ্যান, মটর }
(৩) পরিবাহী (Conductor) : তামা, অ্যালুমিনিয়াম
(8) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device) ঃ সুইচ, রেগুলেটর
(৫) রক্ষণ যন্ত্র (Protective device): ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার
(১) বৈদ্যুতিক সোর্স (Electric source) : যে ডিভাইস বা যন্ত্রের সাহায্যে বিদ্যুচ্চালক বল (EMF) উৎপন্ন করে বৈদ্যুতিক বর্তনীতে প্রয়ােগ করা হয় যার ফলে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে বৈদ্যুতিক সোর্স বলে। যেমন- ব্যাটারি, ডিসি জেনারেটর, এসি জেনারেটর ইত্যাদি।
(২) বৈদ্যুতিক লোড (Electric load) : যে সকল যন্ত্রের বা ডিভাইসের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের ফলে কোনো না কোনাে কাজ পাওয়া যায় তাদেরকে বৈদ্যুতিক লোড বলে। যেমন- বাতি থেকে আলো, পাখা থেকে বাতাস, হিটার থেকে তাপ, বৈদ্যুতিক বেল থেকে শব্দ ইত্যাদি পাওয়া যায়। উল্লিখিত দ্রব্যাদিকে বৈদ্যুতিক লোড (Electric load) <CF
(৩) পরিবাহী (conductor) : বৈদ্যুতিক বর্তনীর বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ দেওয়ার জন্য যে পরিবাহী পদাৰ্থ ব্যবহার করা হয় তাকে পরিবাহী বা তার বলে। এ তার তামা বা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। তারের ওপর আবার বিভিন্ন প্রকার ইনসুলেশন দেওয়া হয়।
(৪) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (controlling device) : যে সকল যন্ত্রের সাহায্যে আমরা বিদ্যুৎ শক্তি ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহার করতে পারি তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বলে। যেমন- সুইচ, ভোল্টেজ রেগুলেটর, স্ট্যাবিলাইজার। সুইচের সাহায্যে সার্কিট ইচ্ছামতো off/on করা হয়, রেগুলেটরের সাহায্যে সুবিধামতো কম বেশি ভোল্টেজ ব্যবহার করতে পারি এবং স্ট্যাবিলাইজারের সাহায্যে লোডের ভোল্টেজ স্থির রাখতে পারি।
(৫) রক্ষণ যন্ত্র (Protective device) : যে সকল যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক বর্তনীকে শর্ট সার্কিট, বেশি ভোল্টেজ, বেশি কারেন্টজনিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা যায়। তাদেরকে রক্ষণ যন্ত্র বলে। যেমন- সার্কিট ব্রেকার, ফিউজ, আইসোলেটর, রিলে ইত্যাদি।