মাইক্রোসফট বলছে, বাজারের বেশির ভাগ কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করা যাবে। অর্থাৎ সব নয়। আরেকটি ব্যাপার হলো, যাঁরা পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাঁদের বেলায় কী হবে?
আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে পারবেন কি না, তা আগেভাগেই জেনে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে মাইক্রোসফট। ছোট্ট একটি সফটওয়্যার নামিয়ে নিয়ে নিজেই তা জেনে নিতে পারেন।
কাজটি করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে পিসি হেলথ চেক সফটওয়্যার নামিয়ে নিন। নামানো হলে ফাইলটি খুলে প্রথমে ব্যবহারের নীতিমালায় সমর্থন জানাতে হবে। এরপর ‘ওপেন পিসি হেলথ চেক’ বক্সে ক্লিক করে ‘ফিনিশ’ নির্বাচন করুন।
সফটওয়্যারটির মূল পাতার শিরোনামে লেখা থাকবে ‘পিসি হেলথ অ্যাট আ গ্লান্স’। ওপরের দিকে ‘ইনট্রোডিউসিং উইন্ডোজ ১১’ লেখা বক্স দেখাবে। সেখান থেকে ‘চেক নাউ’ বোতামে ক্লিক করুন।
আপনার কম্পিউটার যদি উইন্ডোজ ১১ ইনস্টলের উপযুক্ত না হয়, তবে ‘দিস পিসি উইল নট রান উইন্ডোজ ১১’ লেখা দেখাবে। সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেমটি ইনস্টল করতে না পারার কারণ দেখাবে। সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন আপনার কম্পিউটারের কোন যন্ত্রাংশটি উইন্ডোজ ১১-এর উপযোগী নয়।
আর আপনার কম্পিউটার উপযুক্ত হলে নির্ধারিত সময়ে উইন্ডোজ ১১ তে হালনাগাদ করতে পারবেন। মাইক্রোসফটের ঘোষণা অনুযায়ী, বড় দিনের ছুটি অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বরের শেষ থেকে পর্যায়ক্রমে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা।
উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করতে হলে কম্পিউটারে যা যা থাকা জরুরি
প্রসেসর: ১ গিগাহার্টজ বা তার বেশি গতির ২ বা ততোধিক কোরের ৬৪-বিট সমর্থিত প্রসেসর
র্যাম: ৪ গিগাবাইট
স্টোরেজ: হার্ডডিস্কে ৬৪ গিগাবাইট বা তার বেশি ফাঁকা জায়গা
সিস্টেম ফার্মওয়্যার: ইউইএফআই, সিকিউর বুটের উপযোগী
টিপিএম: ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০
গ্রাফিকস কার্ড: কমপক্ষে ডিরেক্টএক্স ১২ সমর্থন করতে হবে, সঙ্গে থাকতে হবে উইন্ডোজ ডিসপ্লে ড্রাইভার মডেল (ডব্লিউডিডিএম) ২.০ ড্রাইভার
ডিসপ্লে: ৯ ইঞ্চির বেশি এইচডি (৭২০ পিক্সেল) রেজল্যুশনের ডিসপ্লে