জন্মদাগ কি?
জন্মদাগ হলো জন্ম বা জীবনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ থেকে ত্বকে দৃশ্যমান এক ধরনের বিবর্ণতা। মুখমণ্ডল বা শরীরের যেকোনো স্থানে জন্মদাগ থাকতে পারে। রঙ, আকার-আকৃতি ও উপস্থিতিতে জন্মদাগের বৈচিত্র্য রয়েছে।
কিছু জন্মদাগ স্থায়ী এবং সময় পরিক্রমায় বড় হতে থাকে। অন্যান্য জন্মদাগ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে যায়। অধিকাংশ জন্মদাগই নিরীহ প্রকৃতির, তবে কোনো কোনো জন্মদাগ রোগ নির্দেশক হতে পারে। শারীরিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে কিছু জন্মদাগ অপসারণ করা যেতে পারে।
জন্মদাগ কি কোনো সমস্যা? বা পূর্বজন্মের সাথে সম্পর্কীত?
জন্মদাগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো সমস্যার নির্দেশক নয়, তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম আছে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব দাগের কোনো গুরুত্ব নেই। তবে রক্তনালিজনিত দাগ, যেমন হেমানজিওমা, যা অস্বাভাবিক রক্তনালির ফুলে ওঠার কারণে হয়ে থাকে। এটি কখনো কখনো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। নয়তো জন্মদাগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
জন্মদাগ নিয়ে পূর্বজন্ম সংক্রান্ত নানা কুঃসংস্কার বিদ্যমান থাকলেও বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই।
জন্মদাগ দূর করার পদ্ধতিঃ
অধিকাংশ জন্মদাগই নির্দোষ প্রকৃতির এবং চিকিৎসা বা অপসারণের প্রয়োজন হয় না। কিছু জন্মদাগের কারণে সৌন্দর্যে অস্বস্তি বোধ হতে পারে। কোনো কোনো জন্মদাগ মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যেমন: স্কিন ক্যানসার। জন্মদাগ অপসারণের পদ্ধতি হলো: লেজার থেরাপি, বিটা-ব্লকার্স, করটিকোস্টেরয়েডস ও সার্জারি।
লেজার থেরাপি দিয়ে পোর্ট-ওয়াইন স্টেইন দূর করা যায়। এই দাগের চিকিৎসা শুরুর দিকে করলে সফলতার সম্ভাবনা বেশি। লেজার থেরাপি জনিত অস্বস্তি কমাতে চিকিৎসক লোকাল অ্যানেস্থেটিক দিতে পারেন। এই চিকিৎসার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো সাময়িক ফোলা বা কালশিটে। লেজার থেরাপি ব্যবহারে স্থায়ীভাবে জন্মদাগ দূর করা যায়।
সার্জারির মাধ্যমে জন্মদাগ অপসারণের পর স্কার কমাতে টিস্যু এক্সপানশনের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে অপসারিত জন্মদাগের পাশে সুস্থ ত্বকের নিচে বেলুন প্রবেশ করানো হয়। এতে নতুন সুস্থ ত্বকের বিকাশ হয়। চিকিৎসক যখন প্রয়োজন মনে করবেন ওটা খুলে নেবেন।
Source:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Birthmark, https://www.prothomalo.com/lifestyle/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4