প্রশ্ন:২ এর উত্তর:
প্রাচীনকালে খুব সুন্দর একটা ধ্যান ধারণা ছিলো এই জ্যোতির্বিজ্ঞান বা জ্যামিতির উপর। তারা সবকিছু ত্রিভূজ এর মাধ্যমে প্রমাণ করে আবিষ্কার করতেন, তার মধ্যে সমকোণী কিংবা সমবাহু ত্রিভূজের প্রাধান্য ছিলো বেশি। সেই ধারণা থেকেই তারা ত্রিকোণমিতিতে Sin, Cos, Tan এর আবির্ভাব করেন। আধুনিক টার্ম সাইন (Sin) আসলে ল্যাটিন ওয়ার্ড সাইনাস (Sinus) হতে আগত, সাইনাস অর্থ কি? অনেকেই হয়তো জানি গর্ত, আসলেও তাই, কিন্তু গর্তই বা আসলো কি করে?
Sin, Cos, Sec, Tan, Cosec এদের অনুপাত কিভাবে এলো তা সবার আগে চিন্তা করা হয়েছিলো গ্রীসে। তার আদলে হয়ে ছিলো এই উপমহাদেশে।এখন থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আর্যভট্ট (৪৭৬-৫৫০ খ্রিস্টাব্দ) একটা বই লিখেছিলেন, নাম সূর্যসিদ্ধান্ত। আর্যভট্ট তাঁর বইয়ে এই Sin, Cos, Tan এর সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছিলেন যা একটা বৃত্তের মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়, বৃত্তটি আবার এক এককের। এখন আর্যভট্ট সাইন কে সবসময় অর্ধজ্যা বলে সম্বোধন করতেন।এখন মনে প্রশ্ন অর্ধজ্যা এর সাথে গর্তের কি কানেকশন?
ভাষার তারতম্য৷ আরবিতে জ্যা এর কোনো প্রতিশব্দ নেই, তাই মিল রেখে নাম দিলেন "যিবা", আরবিতে অনেকেই যের, যবর, পেশ ছাড়া লিখে অভ্যস্ত, পরবর্তী প্রজন্ম এই যের, যবর, পেশ ছাড়া দেখে বুঝতে পারলো না এটা যিবা। তারা এটাকে নাম দিলো, যাইব বা গর্ত। এরপর ল্যাটিন ভাষার অনুবাদকেরা এর অনুবাদ করে বের করলেন "Sinus" থেকে "Sin", এখন লম্ব আর অতিভূজ এর অবস্থান দেখলে গর্তের মতো দেখায়, এইটার নাম তাই সচ্ছন্দেই মেনে নিয়েছিলো সবাই।
ক্রেডিট : মিথিলা ফারজানা মেলোডি