#ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজি (Tree Network Topology):-
উত্তরঃ ট্রি টপোলজি হায়ারার্কিকাল টপোলজি নামেও পরিচিত, এটি বর্তমানে ব্যবহৃত সর্বাধিক নেটওয়ার্ক টপোলজিগুলোর একটি। ট্রি টপোলজি বাস টপোলজি এবং স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্যগুলোকে একত্রিত করে। এই টপোলজিটি নেটওয়ার্ককে একাধিক স্তরে বিভক্ত করে, যেখানে প্রথম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়, এভাবে স্তরে স্তরে বিভক্ত থাকে। এক্ষেত্রে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করে সকল কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে রুট নোড বলা হয় । রুট হিসেবে অনেক সময় সার্ভারও থাকেতে পারে। এই টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বা বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত থাকে বলে ট্রি টপোলজি বলা হয়।
সকল প্রতিবেশী হোস্টের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ রয়েছে। বাস টপোলজির অনুরূপ, যদি রুটটি নষ্ট হয় তবে পুরো নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে যায়। ওয়ার্কস্টেশনগুলো গ্রুপে(Group) অবস্থিত হলে এটি আদর্শ এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।
★ট্রি-টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা:
১। ট্রি টপোলজি মূলত ব্রডব্যান্ড ট্রান্সমিশন সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ দীর্ঘ দূরত্বে সংকেত প্রেরণ করা যায়।
২। শাখা-প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি-টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ।
৩। নতুন কোনো নোড সংযোগ বা বাদ দিলে নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কাজকর্মের কোনো অসুবিধা হয় না।
৪। ট্রি টপোলজিতে ত্রুটি(Error) সনাক্তকরণ এবং ত্রুটি(Error) সংশোধন খুব সহজ।
৫। একটি স্টেশনে ত্রুটি(Error) পুরো নেটওয়ার্ককে প্রভাবিত করে না।
৬। প্রতিটি পৃথক সেগমেন্ট এর জন্য পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ওয়্যারিং রয়েছে।
৭। অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী।
★ট্রি-টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা:
১। এই টপোলজি কিছুটা জটিল ধরনের।
২। রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে ক্রুটি(Error) দেখা দিলে নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে যায়।
৩। ট্রি টপোলজি মূলত মূল বাস ক্যাবলের উপর নির্ভর করে এবং প্রধান বাস ক্যাবলের ব্যর্থতা সামগ্রিক নেটওয়ার্কের ক্ষতি করে।