পৃথিবী গোল। সূর্য গোল। চাঁদ গোল। এই মহাশূন্যও গোল। তাহলে বেলুন গোল হবে না কেন? গোল হওয়ার গৌরব থেকে কেন সে বঞ্চিত হবে? কিন্তু বেলুনের ইচ্ছা অনুযায়ী কি বেলুনের আকার ঠিক হবে? বেলুন কেন চৌকোণা নয়, কেন পিরামিডের মতো নয়?
ফুঁ দিয়ে ফোলালেই বেলুন গোল হয়ে যায় কেন? বেলুনের স্থিতিস্থাপকতা বা ইলাস্টিসিটির কারণেই বেলুন গোলাকার ধারণ করে। ফুঁ দিলে বেলুনের রাবারের আবরণে চাপ পড়ে, সেটি ফুলে ওঠে এবং একই সঙ্গে ভেতরের বাতাসের চাপের সমান ও বিপরীত চাপ প্রয়োগ করে।
স্থিতিস্থাপক উপাদানের প্রধান গুণ হলো, তা এমনভাবে প্রসারিত হয় যেন ন্যূনতম পৃষ্ঠতল (সারফেস এরিয়া) ধারণ করতে পারে। চৌকোণা, পিরামিড বা অন্য যেকোনো আকৃতির চেয়ে গোলাকার বস্তুর পৃষ্ঠতল সবচেয়ে কম। তাই বেলুন গোলাকার।
ফুঁ দিয়ে আরও বেশি বাতাস দিলে সেই অনুপাতে বেলুনও ফুলে ওঠে, গোলাকার রূপ বজায় রেখে। তবে স্থিতিস্থাপকতার সীমা অতিক্রম করলে বেলুন ফেটে যায়।
প্রায় একই ধরনের কারণে সাবানের বুদ্বুদের আকার গোল। তবে পার্থক্য হলো, সাবানগোলা পানির সারফেস টেনশনের (পৃষ্ঠটান) কারণে তা গোলাকার ধারণ করে। এক টুকরা পাটকাঠি সাবানপানিতে ডুবিয়ে অপর প্রান্ত দিয়ে ফুঁ দিলে তার চাপে সাবানপানি বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। ভেতরের বাতাস বাইরের দিকে চাপ সৃষ্টি করে, এর বিপরীতে সাবানপানি ভেতরের দিকে সমান চাপ প্রয়োগ করে। এই সময় সামান্য আঠালো সাবানপানি সারফেস টেনশনের কারণে ন্যূনতম পৃষ্ঠতল ধারণ করে, যা গোলাকার।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো