ফুলসজ্জায় দুধ খাওয়ার রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশে, বাংলাদেশে এই রীতির প্রচলন দেখা যায়। দুধের সাথে কেশর, পেস্তা বাদাম, হলুদ ইত্যাদি মেশানো হয়। জনপ্রিয় এই রীতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে :
বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। কেশর, হলুদ, পেস্তা বাদাম মেশানো দুধ দম্পতির দেহে এনার্জি জোগাড়। বাদাম ও দুধ উভয়েই প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় মানবদেহে শক্তি প্রদান করে। তাছাড়া দুধে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, খনিজ উপাদান, ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। দুধের ৩.৪ শতাংশ থাকে প্রোটিন এবং দুধের প্রোটিনের ৭০-৮০ শতাংশই হলো ক্যাসেইন। এছাড়াও আছে হোয়ে প্রোটিন, অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন, ল্যাকটোফেরিন, বোভিন। সাইন্স বী
মানুষের টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের ক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে দুধের প্রোটিন, পাশাপাশি দুধে মেশানো কেশর। তাছাড়া বাদামে আছে ওমেগা-৩ ও জিংক যা সেক্সুয়াল ফাংশন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দুধে থাকে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিড যা সেরেটোনিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সেরেটোনিন হরমোন নব-দম্পত্তির মেজাজ, অনুভূতি, আনন্দ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করে। সেরেটোনিনকে "Happy Hormone" বলা হয়। তাছাড়া বাদাম ও হলুদ মেশানো দুধ মানবদেহের তাপমাত্রা কমিয়ে সতেজ থাকতে সাহায্য করে।
অতএব, ফুলসজ্জায় বহু প্রচলিত দুধ খাওয়ার রীতির পিছনেও আছে বিজ্ঞান।
@ নিশাত তাসনিম (সাইন্স বী)