চুম্বক থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ শক্তি পাওয়া যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
1,903 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,620 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (8,580 পয়েন্ট)
তড়িৎ পরিবাহী কোনো তার পেঁচিয়ে কয়েল তৈরি করলে ওই কয়েলের পাশে চুম্বক আনা নেয়া করলে বিদ্যিৎ প্রবাহিত হবে। এই থিওরি কাজে লাগিয়েই মূলত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
মনে করুন, আপনার কাছে একটি তামাে কয়েল আছে। কয়েলটির একপাশে একটা চুম্বকের উত্তর মেরু ধরলেন। পরক্ষণেই আবার দক্ষিণ মেরু ধরলেন। এভাবে বারবার চুম্বক ক্ষেত্র মুভ করতে শুরু করলেন। তখন ওই পরিবাহী কয়েলের মধ্যে থাকা মুক্ত ইলেক্ট্রনগুলো আকর্ষণ বিকর্ষণের কারণে বারবার চুম্বকের দিকে আসবে আবার চুম্বক থেকে সরে যাবে। অর্থাৎ ইলেক্ট্রনের প্রবাহ সৃষ্টি হবে।
আর আমরা জানি ইলেক্ট্রনের প্রবাহই বিদ্যুৎ। অর্থাৎ এতে করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে৷
এখন বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে টারবাইন ঘুরানো হয় বাষ্পের প্রবাহের সাহায্যে বা পানির স্রোতের সাহায্যে। আবার সেই টারবাইন সংযুক্ত থাকে জেনারেটরের ভেতরের পরিবাহী কয়েলের সাথে। এখন জেনারেটরের ভেতরে থাকা চুম্বকের পাশে কয়েলকে টারবাইনের মাধ্যমে ঘুরাতে থাকলে চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে একইভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। (কয়েল স্থির রেখে এর পাশে চুম্বক ঘুরালেও বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, আবার চুম্বক স্থির রেখে কয়েল ঘুরালেও বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।)
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
পৃথিবীতে ৯ প্রকার শক্তি বিদ্যমান। এরমধ্যে চুম্বকশক্তি ও বিদ্যুৎ শক্তি বলা যায় একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। চুম্বকের সাহায্যে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায় আবার বিদ্যুৎ দিয়েও চুম্বক তৈরি করা যায়। বিখ্যাত এক বিজ্ঞানী পকেটে সব সময় চুম্বক নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। সবসময় সেটা নিয়েই চিন্তা করতেন। তার প্রশ্ন ছিল বিদ্যুৎ দিয়ে চুম্বক তৈরি করা গেলে চুম্বক দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে না কেন?? যাই হোক তিনি সফল হয়েছিলেন চুম্বকের সাহায্যে বিদ্যুৎ তৈরি করতে। শুধু কি তাই তড়িৎ বিজ্ঞানে তিনি দুটি সুত্র ও বর্ননা করেন। বিজ্ঞ পাঠক এতোক্ষনে বুঝতে পেরেছেন আমি কার কথা বলছি। তিনি হলেন বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে।

তার দেওয়া থিওরি অনুসারেই জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

 

পরিবাহীর ধর্ম হলো এর ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় এটি চুম্বকের ন্যায় আচরন করে অর্থাৎ এর চারপাশে চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়। সোজা পরিবাহীতে এর পরিমান একেবারেই নগন্য। কিন্তু পরিবাহীটিকে যদি প্যাচ দিয়ে কয়েল করা যায় তাহলে তুলনামুলক শক্তিশালী চুম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়।  

 

 সোজা পরিবাহীতে কত শক্তিশালী চুম্বকক্ষেত্র তৈরি হবে তা নির্ভর করে ঐ পরিবাহীতে কত অ্যাম্পিয়ার করেন্ট প্রবাহ হচ্ছে তার উপর। ধরা যাক একটি পরিবাহীতে ৫ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ঐ পরিবাহীতে যে পরিমান চৌম্বক ফ্লাক্স তৈরি হবে ১০ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত করলে তার দ্বি গুন ফ্লাক্স তৈরি হবে। অর্থাৎ কারেন্ট যতগুন বাড়বে ফ্লাক্স ও ততগুন বাড়বে।

 

এ গেল সোজা পরিবাহীর হিসাব। এবার আসা যাক কয়েলে। কয়েলে চৌম্বক শক্তি তৈরি নির্ভর করবে দুটি বিষয়ের উপর। এক, কারেন্ট প্রবাহের উপর। দুই, প্যাচ সংখ্যার উপর। এখানে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো

একই কারেন্টে এক প্যাচ কয়েলে যে চৌম্বক শক্তি তৈরি হবে কয়েলের প্যাচ দ্বিগুন, তিনগুন, চারগুন করলে কয়েলের চৌম্বক শক্তিও যথাক্রমে দ্বিগুন, তিনগুন, চারগুন বাড়বে। আবার একই সাথে কারেন্ট বৃদ্ধি করলে সেই অনুপাতে চৌম্বক শক্তিও বাড়বে।

 

 কয়েলের চৌম্বকচালক বল= কয়েলে প্রবাহিত কারেন্ট * কয়েলের প্যাচ সংখ্যা।

  = অ্যাম্পিয়ার টার্ন ( একক)

 

এখন আমরা চুম্বক সংক্রান্ত কিছু রাশি নিয়ে আলোচনা করব।

চুম্বক মেরু = প্রতিটি চুম্বক দুটি প্রান্ত আছে। যা উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু নামে পরিচিত। চৌম্বকীয় রেখা গুলি এই মেরু দিয়েই প্রবেশ বা বের হয়। এই দুই মেরুতে চুম্বকের শক্তি সবচেয়ে বেশি।

 

 চৌম্বকীয় রেখা= চুম্বক কিছু কাল্পনিক ও অদৃশ্য রেখার মাধ্যমে চৌম্বক পদার্থ কে আকর্ষণ বিকর্ষণ করে। এই কাল্পনিক রেখা গুলিকে চৌম্বকীয় রেখা বলা হয়। যতদুর পর্যন্ত এই রেখার অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে ততদুর পর্যন্ত চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাব থাকে। যদিও তাত্ত্বিকভাবে ভাবে চুম্বকক্ষেত্র অসীম।

 

চৌম্বকীয় রেখা দু রকম

১. চৌম্বকীয় বলরেখা

২. আবেশ রেখা

 

  চৌম্বকীয় বল রেখা চুম্বকের বাহিরে তৈরি হয়। এগুলো সবসময় উত্তর মেরু হতে বের হয়ে দক্ষিণ মেরুতে গিয়ে প্রবেশ করে।

 

আর আবেশ রেখা চুম্বকের ভিতরে প্রবাহিত হয়। এরা দক্ষিণ মেরু হতে উত্তর মেরুতে গমন করে।

 

 এভাবে চৌম্বকীয় রেখার প্রবাহের সম্পুর্ন পথই হচ্ছে চৌম্বক সার্কিট।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 274 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 319 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 199 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 800 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,683 জন সদস্য

163 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 161 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. SheriSaddler

    100 পয়েন্ট

  5. ElmaBrazil98

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...