আল্লাহ তাআলা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মের পর মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখিতে চুপ থাকতে বলেছেন। সে নির্দেশটি ছিল এমন-
‘(সন্তান ভূমিষ্ঠের পর) যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ (তোমাকে কোনো প্রশ্ন করে) তবে তুমি বলো, ‘আমি দয়াময় আল্লাহর উদ্দেশে সাওম বা রোজা (কথা বলা থেকে বিরত থাকতে) মানত করছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলবো না।’ (সুরা মারইয়াম : আয়াত ২৬) । এ আয়াতের আলোকে রোজা রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ার সব খারাবি থেকে বিরত থাকা বা চুপ থাকা। আর এতে যেমন মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন হবে। পাশাপাশি গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকা যাবে। আমরা কেন রোজা রাখবো? রোজা রাখার উদ্দেশ্যই বা কী? এ সম্পর্কে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়ে বলেছেন-
‘শুধুমাত্র পানাহার (খাওয়া ও পান করা) থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম নয়; বরং অসারতা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকার নামই হলো (প্রকৃত) সিয়াম। সুতরাং যদি তোমাকে কেউ গালাগালি করে অথবা তোমার প্রতি মুর্খতা দেখায়, তাহলে তুমি (তার প্রতিকার বা প্রতিশোধ না নিয়ে) তাকে বলো যে, আমি সায়েম, আমি রোজা রেখেছি, আমি রোজা রেখেছি। (মুস্তাদরেকে হাকেম, ইবনে হিব্বান, সহিহুল জামেইস সাগির)