চাঁদ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
722 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (20,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (20,400 পয়েন্ট)
বর্তমানে আমরা যাকে চাঁদ (বা চাঁদ মামা) বলে ডাকি, তিনি পৃথিবীর বুকে অতীতে আছড়ে পড়েন নি, ভবিষ্যতেও পড়বেন না। কিন্তু ছোট-বড় অনেক বস্তুই অতীতে আছড়ে পড়েছে, এখনো পড়ছে, ভবিষ্যতেও পড়বে। যারা অতীতে আছড়ে পড়েছে, তাদের অনেকেই অনেকদিন ধরে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে ধীরে কাছে এসেছে, তারপর আছড়ে পড়েছে। অথচ, তাদেরকে আমরা কখনো ঘূর্ণায়মান থাকতে দেখিনি। সেসব আছড়ে পড়া বস্তুগুলোর সম্মিলিত রূপটিই হলো আমাদের আজকের পৃথিবী। এমনকি পৃথিবীর যত সমুদ্র আর তাতে যত পানি এসবই এসেছে বাইরে থেকে। রাতের আকাশে আমরা যেসব তারার মত আলোর বিন্দুগুলোকে ছুটে যেতে দেখি (তারা ঝরে পড়া) সেগুলো আসলে এরকম ছোটছোট বস্তুর ঝরে পড়া। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘর্ষনের ফলে তারা জ্বলে ওঠে বলেই আমরা তাদেরকে দেখতে পাই।

এখন মনে করুন, অতীতে কোন এক কালে আমাদের এই বড় চাঁদটিও যদি কোনদিন আছড়ে পড়েই গিয়ে থাকত, আর মিশে যেত পৃথিবীর সাথে (অতীতে অন্যান্য বস্তু পড়েছে, চাঁদও পড়তে পারত), তাহলে তো চাঁদটিকে এখন আর আকাশে দেখতে পেতাম না, তাই না? তখন আমরা বলতাম পৃথিবীর কোন চাঁদ নেই। এই মুহূর্তে আমরা যেসব বস্তু আকাশে দেখি, সেগুলো পড়ে যায়নি বলেই দেখি।

আবার এমনও হতে পারত যে, পৃথিবীর আকর্ষন ছিন্ন করে কোন এক অতীত কালে চাঁদটা বহু দুরে চলে গিয়েছিল। তাহলেও কিন্তু চাঁদ নিয়ে আমাদের এত কৌতুহল হতো না। আমরা জানতেই পারতাম না যে কোনকালে চাঁদ ছিল আমাদেরপ্রতিবেশী। অনেক বস্তু এরকম চলে গিয়েছে। সত্যি বলতে কী! চাঁদটাও প্রতিনিয়ত একটু করে দুরে চলে যাচ্ছে, তবে অত্যন্ত ধীরে।

সেকারণে, চাঁদ আর পৃথিবীর মধ্যে একটা সাময়িক সাম্যাবস্থা এই মুহূর্তে বিরাজ করছে। কিন্তু সেটাও পুরোপুরি সাম্যাবস্থা নয়। একটি দীর্ঘ সময় ধরে ওরকম অবস্থায় ঘুরতে থাকার কারণে আমরা ভাবছি এটাই চিরন্তন। আমাদের মনে হয় যেন কেউ বুঝি ওকে ধরে ঠিকঠাক সেট করে ওখানে বসিয়ে দিয়েছে। আসলে বিষয়টা ওরকম নয়। একে অপরের প্রতি আকর্ষণের কারণেই তারা একে অপরের অভিমুখে পড়তে শুরু করে। কিন্তু সেই পড়ে যাওয়াটা সবসময় মুখোমুখি হয় না, পাশ কেটে চলে যায়। যেতে যেতে আবার পিছুটান অনুভব করে। একটু করে গতি কমতে থাকে। একসময় আবার উল্টোদিকে পড়তে শুরু করে। এভাবে সবাই নিরন্তর সবার দিকে পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু আদি বেগের দিকের কারণে মিশে যেতে পারছে না। মিশে যদি যেতই, তাহলে আর ঘুরতে দেখতাম না।

আমরা আসলে বর্তমানে যাকে যে অবস্থায় দেখি, যেরকম চক্রে আবর্তিত হতে দেখি, সেগুলো সবটুকুই হলো একটা সাময়িক অবস্থা এবং অসংখ্য অনেক সম্ভাবনার মধ্যে থেকে একটা আপাত স্থিতিশীল পরিস্থিতি।
©
0 টি ভোট
করেছেন (2,990 পয়েন্ট)
পৃথিবী, চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র সব কিছুই শূণ্যে ভেসে আছে। এখানে শূণ্য কী? শূণ্য বলতে আমরা বুঝি যেখানে কোনো মাধ্যম নেই। মাধ্যম বলতে এই যেমন, তাদের ভেসে থাকার জন্য মাটি, জল এরকম কিছুই নেই। তবুও এত বড় বড় গ্রহ নক্ষত্র ভেসে রইলো।

 

প্রথমে ব্যাখ্যা টা করার জন্য আপনার মনের ল্যাবরেটরিতে কিছু জিনিস আনতে হবে। ধরে নিন, একটা কামান।

 

কামানের গোলা হিসেবে বড় একটা লোহার গোলক। এই লোহার গোলক কে পৃথিবীও ভেবে নিতে পারেন। এখন গোলাটি নিক্ষেপ করার পালা। কামান থেকে গোলাটি খুব জোরে নিক্ষেপ করা হল। এখানে "জোরে" বলতে বেশি বেগে।

 

গোলাটি যখন নিক্ষেপ করা হল তখন কিছু সময়ের জন্য এটা ভেসে থাকবে, তারপর মাটিতে পতিত হবে। এখন এই ভেসে থাকার সময় টা মনে করুন খুব বেশি, মানে অনন্ত। গোলকটি যদি সব গ্রহ নক্ষত্রের রূপক হিসেবে ব্যাবহার করি, তাহলে বলতে পারি, গোলকটি ছোঁড়ার মুহূর্ত হতে মাটিতে পতিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সময়টাতেই আমরা সব গ্রহ নক্ষত্রকে দেখছি। মানে আমাদের পৃথিবী সহ সব গ্রহ নক্ষত্র কোনো একটা অন্তিম পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে, অন্তিম পরিণতি হল গোলাটি মাটিতে পতিত হওয়ার মুহুর্ত। এই ব্যাখ্যা টা হলো কিছুটা বিজ্ঞান আর কিছু কল্পনা। মানে, উৎসুক মনকে বুঝ দেয়া।

 

এবার আমরা একটু অন্যভাবে শূণ্যে ভেসে থাকা ব্যাখ্যা করবো।

সারা মহাশূণ্য জুরে একটি জাল বিছানো আছে। আমরা সে জালটা দেখতে পাই না।

 

দেখতে পাওয়ার কথাও না। এই জালটা মহাকর্ষের জাল। অদৃশ্যভাবে এই মহাকর্ষ জালের উপরই পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহ গুলো অবস্থান করছে। যদি চাঁদের উপর নজর দিই, চাঁদ পৃথিবীর আকর্ষণ বলের কারণেই তার নিজের কক্ষপথে টিকে আছে।

 

পৃথিবী চাঁদের জন্য একট জাল বিছিয়ে রেখেছে। চাঁদকে পৃথিবী অবিরাম নিজের দিকে টানছে এই জালের সাহায্যে। কিন্তু চাঁদের নিজের একটা গতি রয়েছে, যে গতির কারণে চাঁদ নিজের জায়গায় রয়েছে। এবার আমরা পৃথিবী ও সূর্যের সম্পর্ক কে ঠিক একইভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি।

 

পৃথিবীও সূর্যের দিকে ধাবমান। কিন্তু, পৃথিবীরও একটা গতি আছে। যে গতির কারণে তা কক্ষপথ থেকে বের হয়ে যেতে চায়। এভাবে সূর্যের আকর্ষণ বল ও পৃথিবীর নিজ অক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে চাওয়ার বল এই দুইটির সাম্যাবস্থার কারণেই পৃথিবী নিজ অবস্থানে টিকে আছে। পৃথিবী মূলত সূর্যের জালের মধ্যেই আটকে আছে। এভাবে সূর্য সব গ্রহ উপগ্রহ নিয়ে আবর্তন করে যাচ্ছে।

সূর্য বিরাট একটা জাল দিয়ে ধরে রেখেছে সব গ্রহ উপগ্রহকে।

 

এতক্ষণ আমরা যে জালের কথা বলেছি তা হল মহাকর্ষ কুপ যাকে ইংরেজীতে বলা হয় গ্র‍্যাভিটেশনাল ওয়েল। যে বস্তু যত বড়(ভর বেশি) তার মহাকর্ষ কুপ তত বড়। তার মানে, সূর্যের একটা বিরাট মহাকর্ষ কূপ রয়েছে। পৃথিবী, চাঁদ অন্যান্য সকল গ্রহ উপগ্রহ এই কূপে ভেসে আছে। ঠিক একইভাবে সূর্যও ভেসে আছে অন্য কনো বড় মহাকর্ষ কূপের উপর।

 

 

এখানে জাল আর মহাকর্ষ কূপ এই দুইটি শব্দ দিয়ে বুঝালাম যাতে উৎসুক মনে প্রশ্নে উল্লেখিত শূণ্যের ধারণা টা স্পষ্ট হয়। আসলে ওই শূণ্য বলতে আমাদের চোখে ধরা না দেয়া এক অদৃশ্য শক্তি, যা দিয়ে সব গ্রহ নক্ষত্র ভেসে আছে, তৈরি করেছে এক রহস্যের। আমরা ডুবে আছি রহস্যাবৃত কূপে আর জড়িয়ে যাচ্ছি মহাকশের রহস্যজালে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 448 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 273 বার দেখা হয়েছে
21 এপ্রিল 2023 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন bhuazhang (1,070 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 221 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 748 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 983 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

262,946 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. ChangWnn2232

    100 পয়েন্ট

  3. MargaretaCyr

    100 পয়েন্ট

  4. SharronNex22

    100 পয়েন্ট

  5. TammaraSchof

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...