Zaima Ferdous Neha -এটাকে বলে Assortative mating. এক্ষেত্রে দুজন মানুষ একসাথে অনেকদিন বসবাস করলে তাদের আচরণ গত এবং শারীরিক গত মিল খুঁজে পাওয়া যায়,সামান্য নয়,অনেক খানি পাওয়া যায়।
মূলত যখন তারা একই সাথে বসবাস করে তখন তারা একইধরনের লাইফ স্টাইল লিড করে,একই ধরনের খাবার ,একই ধরনের আচরণ সবই নিজের মধ্যে ধারণ করব নেয়। একে অপরের সব বৈশিষ্ট্য এভাবে নিজের মধ্যে ধারণ করে অনেক দিন একসাথে বসবাস করলে তখন তাদের মস্তিষ্ক ও এই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে ফেলে। ফলে দুজনের দেহে প্রায় একই ধরনের সংকেত প্রেরণ করতে থাকে মস্তিষ্ক। এতে করে দেহের ইমিউন সিস্টেম থেকে শুরু করে সব ধরনের অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সিমিলারিটিজ চলে আসে। মস্তিষ্কের মিরর নিউরন গুলো মূলত এক্ষেত্রে প্রচুর কাজ করে। মিরর নিউরন হচ্ছে সাম্নের জনের আচরণ রেপ্লিকেট করে এবং তখন ব্যক্তি নিজের মধ্যে একই জিনিশ ফুঁটিয়ে তোলে। এভাবেই প্রত্যেক আচরণ রেপ্লিকেট করতে করতে দেহের মধ্যেও একই ধরনের কাজ শুরু হয়। দেহের কাজ কী? আমাদের আচরণ গুলো নিয়েই তো! আচরণ যদি মিলে যায়, তবে দেহের কাজ ও মিলে যাচ্ছে।এভাবেই শুরু হয় দুজনের দেহের ও মস্তিষ্কের পরিবর্তন এবং এভাবেই চেহারার মধ্যে চলে আসে মিল।
আর এই চেহারা মিলের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে,দুজন ই যদি একই বংশের হয়,তবে তো কথা নেই। দুজনের ডিএনএ গুলোর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে থাকে তখন। একই বংশের মানুষের ডিএনএ এর বৈশিষ্ট্যে অনেক মিল থাকে।