অনেকেই ঘুমের মধ্যে হাঁটে এবং কথা বলে। এইরকম কেন হয়?
মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে,স্পষ্ট-অস্পষ্ট শব্দ করে,কান্না করে, এমনকি হাটা-চলা করতেও পারে। এসবের কারণ খুজেছেন বিজ্ঞানীরা, সেগুলো কী দেখা নেওয়া যাকঃ
আমাদের ঘুমের মধ্যে ২টা পর্যায় আছে। সেগুলো হল-
১) REM (Rapid Eye Movement) বা কম্পাক্ষি নিদ্রা
২) Non REM (Non Rapid Eye Movement)বা স্থিরাক্ষি নিদ্রা।
৩) Slow Wave বা ধীর সম্পন্ন চক্র ঘুম
আমাদের ঘুমের এই দুই নম্বর পর্যায়ে আমাদের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে শরীর নড়াচড়া করতে পারে। এই সময় হরমোন নি:সৃত হয় এবং দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর আবার সতেজ হয়ে ওঠে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে REM ও NREM ঘুম পর্যায়ের মাঝে ৯০ মিনিট বিরতি থাকতে পারে। তাই ঘুমের দুই নম্বর পর্যায়ে নড়াচড়া বেশী করতে পারে।
সাধারনত ঘুমের তিন নম্বর পর্যায় Slow Wave এ মানুষের কথা বলা বা হাটা চলা করতে দেখা যায়। এই ধরনের পরিবেশকে ইংরেজিতে বলে সমনামবিউলিজম (somnambulism or noctambulism), বাংলায় বলে স্বপ্নচারিতা। স্বপ্নচারীদের মন ঘুমিয়ে থাকলেও দেহ অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকে, তার সমস্ত আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয় স্বপ্ন দ্বারাই। বেশি মাত্রায় না হলেও অল্পমাত্রায় স্বপ্নচারী আমরা অনেকেই।
মেডিকেল সাইন্স অবশ্য এর কিছু কারণও খুজে বের করেছে।
সারাদিন অধিক পরিশ্রমের কাজ করে ক্লান্ত দেহে বিছানায় ঘুমাতে গেলে
ভয়, মানসিক অস্থিরতা ও উত্তেজনা থাকলে
অনিয়মিত ঘুম ও অপর্যাপ্ত ঘুম হলে
ঘুমের মাঝে বিশেষ ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা পেলে
ঔষুধ সেবনের ফলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে
এছাড়া বংশগত কারণেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রচণ্ড জ্বরের মধ্যেও এটা হতে পারে
অতিরিক্ত মাদক বা মদ সেবনের কারণে হতে পারে
দুঃস্বপ্ন দেখার মাধ্যমেও এটা হতে পারে
যাদের হজমে গন্ডগোল রয়েছে, (রাতে শোবার পর পাকস্থলির খাদ্য গলার কাছে এসে যায়)