শূকরকে কেন পরিচ্ছন্ন প্রাণী বলা হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
298 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (39,270 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
কাদা এবং পানি- এই দু'টো জিনিস শুকুরকে বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয়। এবং এটা তাদের কোনও ধরণের খামখেয়ালীপনা নয়, বরং প্রকৃতিই তাদের এমন জীবন-যাপনের জন্য দায়ী। আর তাই শূকরকে বলা হয় পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপন পছন্দকারী প্রাণী।
+1 টি ভোট
করেছেন (7,450 পয়েন্ট)
শূকর আমাদের জানামতে একটি নোংরা প্রাণী। এবং এটি দেখতেও খানিকটা বিচ্ছিরি। তাই শূকর সম্পর্কে বেশীরভাগ মানুষই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকেন। এ প্রাণীটি সম্পর্কে আমরা অনেক ভুল ধারণা পোষণ করে থাকি, যা আদৌ সত্য নয়।
এবার চলুন দেখা যাক, শূকর সম্পর্কে প্রকৃতি কি বলে অর্থ্যাৎ বিজ্ঞান আমাদের কি তথ্য দেয়। আমি যদি বলি শূকর হচ্ছে এমন এক প্রজাতির প্রাণী, যা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে খুবই পছন্দ করে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই লাফিয়ে ওঠে বলবেন, ‘একি! এতো রাতকে দিন বলে দাবি করার মত সমান কথা।‘ তাহলে আমি বলব, তটস্থ না হয়ে একটু আরাম করে বসুন। আগে বিজ্ঞান কি বলে তার পুরোটা শুনে নিন।
মানুষের শরীরের তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮.৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট। এ তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আমরা জ্বরে আক্রান্ত হই। কিন্তু সাধারণত যখন আমাদের শরীরে গরম অনুভূত হয় বা তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন ঘামের গ্রন্থি দিয়ে ঘাম বেরিয়ে এসে আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে স্থির রাখে। ঘাম নামক তরল পদার্থ এভাবেই আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে। ঘাম হচ্ছে এমন এক ধরণের তরল পদার্থ, যার মধ্যে লবণ ও অ্যামিনো এসিড থাকে। এজন্যই লবণ যারা অতিরিক্ত খায়, তাদের ঘাম হয় বেশী। কারণ, লবণ শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীর থেকে ঘাম নিঃসৃত হবার পরে তা বাষ্পায়িত হয়ে বাতাসে মিশে যায় আর আমাদের শরীরও তাপমাত্রা হারিয়ে শীতল হয়ে যায়। এভাবেই ঘাম নিঃসরণের মাধ্যমে মানবদেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু যদি আমাদের শরীরে ঘামের গ্রন্থি না থাকত, কিংবা খুব কম থাকত, তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াতো? আপনি গরম অনুভব করছেন, অথচ ঘাম হচ্ছেনা, ব্যাপারটা ভেবেই আপনি নিশ্চয়ই ভয়ে ঘামতে শুরু করেছেন? কারণ, ঘামতে না পারলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। এবং এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে আপনি এক সময় বাধ্য হয়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন আশেপাশে থাকা কোনও ডোবায়, খালে-বিলে কিংবা নদীতে এবং আপনি ততক্ষণই থাকবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি শীতলতা অনুভব করছেন। শুকরের সমস্যা হচ্ছে এটাই। তাদের ঘামের গ্রন্থি খুবই কম কিংবা নেই বললেই চলে। আর যেগুলোও আছে, সেগুলো পর্যাপ্ত নয় এবং তা দিয়ে ঘাম ঠিকমতো নিঃসৃত হতে পারেনা। আর তাই গরম অঞ্চলে শুকরকে সবসময়ই গড়াগড়ি খেতে হয় কাদামাটিতে কিংবা ডোবায়। ফলস্বরূপ শুকরের গায়ে সবসময় কাদামাটি লেগেই থাকে। আর তাছাড়া খালি পানির চেয়ে তারা কাদা-পানিতেই থাকতে বেশী পছন্দ করে। কারণ, তাদের শরীরে কাদা মাখানো থাকলে সেটা সূর্য রশ্মির তেজ থেকে তাদের চামড়াকে রক্ষা করে। তাই কাদা এবং পানি- এই দু’টো জিনিস শুকুরকে বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয়। এবং এটা তাদের কোনও ধরণের খামখেয়ালীপনা নয়, বরং প্রকৃতিই তাদের এমন জীবন-যাপনের জন্য দায়ী।
তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে যে, শূকরের শরীরে ঘর্মগ্রন্থি না থাকায় গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য এরা ঠান্ডা কাদামাটিতে গিয়ে শরীর ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত গড়াগড়ি খায়। কিন্তু যদি শূকরকে ঠান্ডা জায়গায় রাখা হয়, তাহলে কি শূকর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন বেছে নেবে? হ্যাঁ। আসলেই তাই। শূকরকে যদি আপনি ঠান্ডা এলাকায় রেখে গোসলের সময় যদি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করিয়ে তাকে একটি পরিষ্কার খামার ঘরে থাকতে দেন, খেতে দেন, তাহলে আপনি অবাক হয়ে দেখবেন যে, শূকর নিজের ঘরকে পরিষ্কার রাখতে খুবই ভালোবাসে! সে যেখানে ঘুমাবে এবং খাওয়া-দাওয়া করবে, কোনোভাবেই সেই জায়গাটাকে সে নোংরা হতে দেবেনা। এ ব্যাপারে সে খুবই সতর্ক। আর তাই শূকরকে বলা হয় পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপন পছন্দকারী প্রাণী। শুধু তাই নয়। পশুবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, শূকর অন্যান্য পোষা প্রাণীর থেকে আসলে অনেক বেশী বুদ্ধিমান! তারা দাবি করেছেন যে, ঠিকমতো শূকরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে সেটি বুদ্ধিমত্তায় কুকুর ও বিড়ালকে অনেক পেছনে ফেলে দেবে।
প্রত্যেকটি প্রাণীই আসলে প্রকৃতির একেকটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রকৃতিগতভাবেই তারা নিজেরা নিজেদের দেহের সাথে মানানসই জীবনযাপনের পদ্ধতি বেছে নেয়। তাই তাদেরকে কিংবা তাদের জীবনযাপনের পদ্ধতিকে না বুঝে ঘৃণা করবেন না।

©️bramanbaria.com

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
1 উত্তর 1,549 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
4 টি উত্তর 2,044 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
3 টি উত্তর 3,663 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 2,519 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 844 বার দেখা হয়েছে
01 ডিসেম্বর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fabia Reyan (220 পয়েন্ট)

10,781 টি প্রশ্ন

18,484 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

418,323 জন সদস্য

50 জন অনলাইনে রয়েছে
7 জন সদস্য এবং 43 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Fatema Tasnim

    180 পয়েন্ট

  2. portersheep7

    100 পয়েন্ট

  3. donovanyu05

    100 পয়েন্ট

  4. niemannlysgaard4

    100 পয়েন্ট

  5. adultjumper0

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন
...