সহজভাবে বললে প্রথম দিকে মানুষের মনে কৌতুহল থেকে যেটা সৃষ্টি হলো সেটা Astronomy. আর মানুষ গুলো হলো Astronomer. এই Astronomy তে থাকে তারা কিরকম, চাঁদ কিরকম, কিরকম ধাতু বা কোনরকমের পদার্থ দিয়ে তৈরি এরকম গুণগত প্রশ্ন নিয়েই Astronomy. তাহলে তো আমরা আমাদেরকেও Astronomer বলতে পারি তাই না! কারণ আমরাও এখন তারা দেখি, চাঁদ দেখি এবং তাদের নিয়ে অনেক কিছু জানি। টেলিস্কোপ দিয়ে দেখি, বিভিন্ন অলিম্পিয়াডের আয়োজন করি। অনেকে এসব অলিম্পিয়াড এ অংশগ্রহণ করি। তাহলে আমরা যারা কম বেশি আকাশ(মহাশূন্য) দেখি, তা সম্পর্কে জানি তাদের ক্ষুদে Astronomer বলতে পারি। যখন আমরা বিশদে জানবো মানে কোনটা কত আলোকবর্ষ দূরে, ধুমকেতু এখন কোথায় অবস্থান করছে এবং কত বছর পর আবার পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাবে তখন আস্তে আস্তে বড় Astronomer হয়ে উঠবো।
আর এই বিশদে জানার থেকে উৎপন্ন হলো Astrophysics এর। তাই, Astronomy এর একটি শাখা হলো Astrophysics.
পদার্থ্যবিজ্ঞানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল শক্তি। শক্তির বিশ্লেষণই পদার্থবিদ্যার মূল কাজ।
সূর্য কি পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করছে এবং বিকিরণ করতে করতে কখন শ্বেত বামনে রূপ নেবে, কখন একটি নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরে রূপ নেবে, আলো কেনো কৃষ্ণ গহ্বরে হারিয়ে যায় এরকম বিভিন্ন তত্বের বিশ্লেষণই Astrophysics এর কাজ।
Astrophysics এ দুই রকমের কাজ করতে হয়৷ একটা হল তত্বীয় অপরটি হলো ব্যবহারিক। তত্বীয় কাজে বিভিন্ন সূত্র তৈরি করা হয় এবং সেগুলোর বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর বিশ্লেষিত সূত্র গুলোকে কাজে লাগানো হয়, তখন সেটা ব্যবহারিক পর্যায়ে পরে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই Astrophysics প্রসার লাভ করা শুরু করে। বিশেষ করে পারমাণবিক তত্বের ধারণ তৈরি হওয়ার পর থেকে। কারণ, তখন পদার্থবিদ্যা সূর্যের হাইড্রোজেন-হিলিয়ামের ফিউশন বিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। ক্রমে ক্রমে আরো গভীর তত্বের সন্ধান শুরু করে পদার্থবিজ্ঞান। এভাবেই Astrophysics এর সুচনা হয়ে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে।
উল্লেখ্য, আমরা সকলে সহজে ক্ষুদে Astronomer হলেও ক্ষুদে Astrophysicist হওয়া সহজ নয়। তার জন্য কিছু পড়ালেখা করতে হবে, এটুকুই।
shuvro