কপার এবং সিলভারের পাত্রের পানি পান করাটা বেশী উপকারি। কারণ সিলভার কিংবা কপারের পাত্রে যদি পানি পান করার আগের দিন রাতে পানি সংরক্ষণ করে রাখা হয় তাহলে সিলভারের পাত্রের পানিতে সিলভার আয়ন এবং কপারের পাত্রের পানিতে কপার আয়ন দ্রবীভূত হয়ে পাত্রের পানিতে বিদ্যমান পানির ব্যাক্টেরিয়াসিহ বিভিন্ন ক্ষতিকর অণুজীবকে ধ্বংস করে ফেলে। এইসব অনুজীবকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়াকে Oligodynamic effect বলে। এক্ষেত্রে সিলভার অথবা কপারের পাত্রের মাধ্যমে এই কার্যটি সম্পাদন হলে তখন তাকে যথাক্রমে Oligodynamic effect of Silver or Oligodynamic effect of Copper বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রতি এক মিলি লিটার পানির মধ্যে এক মিলিয়ন পরিমাণ অণুজীব ধ্বংস হয়ে পানি পুরোপুরি বিশুদ্ধ হয়ে যায় এবং তা যদি পরেরদিন পান করা হয় তাহলে সম্পূর্ণ পিউরিফাই করা পানি পান করা হবে।
কিন্তু সিলভার এবং কপারের মধ্যে কপারের পাত্রের পানি তুলনামূলক বেশী উপকারি যদিও উভয়ক্ষেত্রে অণুজীব সমূহ ধ্বংস হয়ে যায়।
সিলভারের পাত্রের পানি পান করলে শরীরের অভ্যন্তরে ঠান্ডা অনুভব করা সম্ভব। অন্যদিকে কপারের পাত্রের পানিতে কপার আয়ন পানির pH 5.5 এর মধ্যে সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়ে যেতে পারে। আর উক্ত পাত্রের পানি পান করলে হজমের সমস্যা ,ত্বকের শুষ্কতা,জয়েন্টের সমস্যা দূরীভূত হয়, ক্ষতপূরণ হয়,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,থাইরয়েডজনিত সমস্যা দূর করে। তাই শতাব্দী ধরে কপারের পাত্রের প্রচলন খুব বেশী। মনে রাখবেন! সুস্থতাই একমাত্র সম্পদ।