মশা তার শুঁড়টাকে ব্যবহার করে মানুষের বহিঃত্বক ভেদ করে। এটি ভেতরে ঢুকে রক্ত চলাচল নালী খুঁজে নেয়। মশার স্যালিভায় এমন এক উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে তরল রক্ত পান করতে থাকে মশা।
আগন্তুক উপাদানের বিরুদ্ধে লড়তে মানুষের দেহে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যার নাম হিস্টামিন। এটি রক্ত চলাচলে যে নালীকে কামড় দেয় তার চারদিকটা বড় করে দেয়। ফলে ত্বকের ওই অংশটি ফুলে যায়। হিস্টামিন দেহের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। ফলে চুলকানির সৃষ্টি হয়।
মশার কামড়ে স্রেফ চুলকানি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা ঘটে গেলে তা সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ পায়। কামড়ের ফলে যে অংশটি ফুলে যায় তা কোনো ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। এরপরও যদি জ্বর, মাথাব্যথা, ত্বকে আরো র‍্যাশ ওঠা, অবসাদ, কণ্ঠনালী ফুলে ওঠা, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া, ত্বকের কিছু অংশ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠা, কামড়ের চারদিকে র‍্যাশ ওঠা, বড় অংশজুড়ে চুলকানি হওয়া ইত্যাদি ঘটলেই সাবধান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যেতে হবে।
মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করতে হবে, গাঢ় রংয়ের পোশাক এড়িয়ে যাবেন এবং ত্বক খোলা থাকে এমন পোশাক পরবেন না।
© ইশতিয়াক মাহমুদ