কোনো খাবারের প্রতি এলার্জি তখনই দেখা যায় যখন আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমের কোনো ত্রুটির জন্য সেই খাদ্যে উপস্থিত প্রোটিনকে ইমিউন সিস্টেম ভুলবশত বহিরাগত জীবানু হিসেবে শনাক্ত করে। যার ফলশ্রুতিতে, দেহ থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এতে করে দেহে এলার্জিক রিয়েকশন শুরু হয়। মূলত যখন কেউ গরুর মাংস খায় তখন গরুর মাংসে উপস্থিত প্রোটিনকে ইমিউন সিস্টেম বহিরাগত জীবানু হিসেবেই শনাক্ত করে। এক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম একটি নির্দিষ্ট এন্টিবডি ইমিউনোগ্লোবিউলিন g (Immunoglobulin g) তৈরি করে যা সেই প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই এর ফলস্বরূপ দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি উঠে, লাল হয়ে যায়, চুলকায়, মাথা ব্যথা করে ও মাঝে মাঝে বমি আসে। অনেক সময় ইমিউন সিস্টেম গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখায় যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই গরুর মাংস খেতে মানা করা হয়।