কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টাটকা দুধ থেকে গুঁড়ো তৈরি হয় ।প্রথমে খুব সাবধানে শিততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে করে ফ্যক্ট্রিতে আনা হয় অনেক পরিমান দুধ এরপর দুধকে বায়ুশূন্য অবস্থায় ফুটানো হয়। কেন বায়ুশূন্য অবস্থায়? কারণ এখানে স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপে দুধ ফোটে, ফলে উচ্চ তাপে ফোটালে যে ক্ষতি হতে পারে তার ভয় থাকে না। জলীয় অংশ শুষে নেওয়ার এই পর্যায় শেষ হওয়ার পর দুধে কঠিন উপাদানের পরিমাণ প্রায় ৪৮ ভাগে এসে দাঁড়ায়। এই ঘন তরল দ্রব্য তখন শেষ প্রক্রিয়া অর্থাৎ শুষ্ককরণ প্রণালীর জন্য তৈরি থাকে।
ঘন তরল দুধকে নলের ভিতর দিয়ে এক বহুতলবিশিষ্ট স্টিলের শুষ্ককরণ যন্ত্রে পাঠানোর মধ্য দিয়ে শুষ্ককরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় আর এই যন্ত্রে গরম বাতাস চালনা করা হয়। এখানে দুধের আর্দ্রতা ৬ ভাগে এসে দাঁড়ায় ও তা গুঁড়ো দুধে পরিণত হয়। আরেকটা প্রক্রিয়া আর্দ্রতাকে ৩ ভাগে কমিয়ে আনে এবং এর পরে গুঁড়ো দুধকে বাজারে পাঠানোর জন্য প্যাকেট করার আগে একটু ঠাণ্ডা করে নেওয়া হয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটা খুব সাবধানে করা হয় যাতে দুধের পুষ্টিগত মান, স্বাদ ও গন্ধ একটুও নষ্ট না হয়।