শিশুরা কার্টুন দেখে আনন্দ পাবার জন্য। অনেক কার্টুন আছে, যেগুলো দেখে ওরা আনন্দের সাথে অনেক কিছু জানতে ও শিখতেও পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আমাদের দেশের ‘’মিনা’’র কথা। শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরও শিশুরা অনেক পছন্দ করে। এছাড়াও বিদেশী কার্টুনের মধ্যে পরোপকারী ‘’ওসওয়ান্ড’’, কর্মঠ ‘’বব দ্য বিল্ডার’’, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া ‘’পাওয়ার পাফ গার্লস’’,’’বার্নি শো’’এমনি আরো অনেক জনপ্রিয় শিক্ষনীয় কার্টুনের কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে। দুঃখের ব্যাপার আমাদের দেশের শিশুদেরকে বিনোদনের জন্য বিদেশী কার্টুনগুলোর উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। স্বপ্ন দেখি, আমাদের দেশের শিশুদের কথা ভেবে নিজের ভাষায়, নিজের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্টুন তৈরি করছেন আমাদের প্রতিভাবান নির্মাতারা। শিশুরা সেই কার্টুন চরিত্রদের মত ভালবাসবে প্রকৃতিকে, নতুন নতুন আবিষ্কারে মেতে উঠবে, অন্যায়ে প্রতিবাদ করতে শিখবে।
কার্টুন সম্পু্র্ণ আনন্দদায়ক বিনোদন-
কার্টুন এক ধরনের ভিজুয়াল আর্ট। কার্টুন মূলত বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরী করা হয়। কার্টুনের চিত্র এক নির্মল আনন্দের সৃষ্টি করে বাচ্চাদের মনে। যেকোন গল্পই ফানি ও মজাদার এবং আকর্ষনীয়ভাবেই তৈরী করা হয় এ কার্টুনে যা বাচ্চাদের দ্রুত ক্যাচ করতে পারে।
কার্টুন বেশ জীবন্ত,বোরিং কিছু নয়-
কার্টুনের উজ্জল রং,উপস্থাপনা ,কাহিনী খুবই জীবন্ত যা বাচ্চাদের সহজে মনোযোগ আকর্ষন করতে সক্ষম। বাচ্চারা সহজের কার্টুনের চরিত্রের মাঝে ঢুকে যেতে পারে। কোনরকম জটিলতা এর মাঝে নেই,নির্মল আনন্দ দান করাই এর লক্ষ্য। একঘেয়ে কোন কিছুর উপরই বাচ্চাদের আগ্রহ নেই। তাই কার্টুনের সাহায্যে বাচ্চাদের অনেক জিনিস শেখানোও সম্ভব। ১৯৭০ এর দিকে শিক্ষামূলক কার্টুন দিয়ে বাচ্চাদের ভাষা ও জিওগ্রাফির জিনিস শেখানো শুরু করা হয়। উদাহরন হিসেবে স্কুল হাউস রক এর কথা বলা যায়।
চাইল্ড বেইসড মিউজিক,সহজেই বাচ্চাদের আকর্ষন করতে সক্ষম-
বাচ্চারা কখনই ডায়লগের প্রতি মনোযোগী থাকে না। মূলত মিউজিক ও উপস্থাপনার উপর ভিত্তি করেই তৈরী করা হয় কার্টুন। জনপ্রিয় কার্টুন টম এন্ড জেরীতে ডায়লগের কোন স্থানই নেই। কার্টুনের সাউন্ড বেশ আনন্দের সৃষ্টি করে বাচ্চাদের মনে। আর প্রতিটি কার্টুনের থিম সং তো বাচ্চাদের মুখস্তই থাকে। মিউজিক শুনেই ওরা বলে দিতে পারে কার্টুনের নাম।
কার্টুন সম্পূর্ণ কাল্পনিক-
বাচ্চারা সবসময়ই কাল্পনিক জিনিস পছন্দ করে,এ জটিল পৃথিবীর জটিলতা থেকে দূরে থাকতে চায় ওরা। একঘেয়ে হোমওয়ার্ক কিংবা স্কুলের জটিল জটিল পড়াশুনা কিছুসময়ের জন্য ভুলে একটু আনন্দের জন্যই টিভির সামনে বসে ওরা। আর তখন কার্টুনের কাল্পনিক মজার কাহিনি আকৃষ্ট করে ওদের।কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চারা বিশ্বাস করতে শুরু করে ওদের স্বপ্ন সত্যি হবে। কার্টুনেরর ইনোসেন্ট চরিত্রের মাঝে সহজেই মিশে যেতে পারে ওরা।
বয়স ও সময় ভেদেও কার্টুনের পার্থক্য রয়েছে। কিছু কার্টুনে ধংসাত্বক চরিত্রও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একদম ছোট বাচ্চাদের ওরকম কার্টুন না দেখতে দেওয়াই উচিত যা বাচ্চাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে একমাত্র কার্টুনই বাচ্চাদের সাথে এতটা গভীর সম্পর্ক তৈরী করতে পারে যেখনে বাচ্চারা আনন্দ পায়,শিখতে পারে এবং চরিত্রের সাথে মিশে যেতে সক্ষম।
Source : Dailyhunt+somewhereinblog