এটা বোঝার জন্য আপনাকে গিয়ার সিস্টেম বুঝতে হবে। গিয়াে হলো খাঁজকাটা চাকতি। একটি গিয়ারের খাঁজ বা কাঁটা অপর গিয়ারের খাঁজ বা কাঁটার সাথে সংযুক্ত হয়ে অপর গিয়ারকে ঘুরাতে পারে।
মনে করুন দুটি গিয়ার রয়েছে, একটি গিয়ার বড় এবং অপরটি ছোট। এখন ধরুন, বড় গিয়ারের খাঁজ বা কাঁটার সংখা ছোট গিয়ারের খাঁজের সংখ্যার দ্বিগুন। ধরলাম, ছোট গিয়ারে ৩০ টি এবং বড় গিয়ারে ৬০ টি কাঁটা রয়েছে। তাহলে যেহেতু বড় গিয়ারের খাঁজের সংখ্যা ছোট গিয়ারের ২গুণ বলে বড় গিয়ার ১বার ঘুরলে ছোট গিয়ার ঘুরবে ২বার।
এখন ঘড়িতে ঘন্টা, মিনিট, সেকেন্ড- প্রতিটি কাঁটার সাথে ১টি করে গিয়ার সংযুক্ত থাকে। এবার সেই আগের গিয়ার সিস্টেম অনুযায়ী, মিনিটের গিয়ারের খাঁজ বা দাঁতের সংখ্যা সেকেন্ডের গিয়ারের ৬০ গুণ। ফলে মিনিটের গিয়ার একবার ঘুরলে সেকেন্ডের গিয়ার ঘুরে ৬০ বার।
আবার ঘন্টার গিয়ারের কাঁটার সংখ্যা মিনিটের গিয়ারের খাঁজ বা কাঁটার সংখ্যার ১২ গুণ। অর্থাৎ মিনিটের গিয়ার ১বার ঘুরলে ঘন্টার গিয়ার ঘুরবে ১ বার।
ফলে মিনিটের গিয়ারকে স্প্রিং বা বিদ্যুতের সাহায্যে ১মিনিটে ১বার ঘুরাতে পারলে মিনিটের গিয়ারের সাহায্যে সেকেন্ডের গিয়ার ১মিনিটে ঘুরবে ৬০বার; মানে ৬০ সেকেন্ডে ১মিনিট। একইভাবে মিনিটের গিয়ার ১২ বার ঘুরলে ঘণ্টার গিয়ার ঘুরবে ১বার; ফলে (১২×৬০)মিনিটে বা, ৭২০মিনিটে ১২ঘন্টা। আর একটা ঘড়িতে ১২ঘন্টা করে হিসাব হয়।
এবাবেই ঘড়ির কাঁটা কিভাবে এক সেকেন্ড, এরপর মিনিটের কাঁটা এক মিনিট পর আবার ঘন্টার কাঁটা কিভাবে ঘুরতে পারে।