ভর পদার্থকে জড়তা (inertia) নামে এক মৌলিক গুণে গুণান্বিত করে। জড়তা হচ্ছে পদার্থের গতি পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রদর্শিত বাঁধা।
ভরযুক্ত পদার্থ আইনষ্টাইনের দেয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী আলোর বেগের নীচে চলাচল করবে। কেননা আলোর গতিতে চললে ভরযুক্ত পদার্থের ভর ও তথা ভরবেগ হয় অসীম। আর অসীম ভরবেগের পদার্থকে আলোর গতিতে নিতে হলে দরকার পড়বে অসীম সময় কিংবা অসীম শক্তি। তাই আলোর বেগে কোনো ভরযুক্ত পদার্থ চলতে পারেনা।
এখন আমরা দেখছি, ভরযুক্ত কণা বা পদার্থ জড়তার কারনে, গতি পরিবর্তনে প্রতিরোধ বা রেসিস্ট্যান্স দেখায়। আর তাই এর গতি পরিবর্তন করতে হলে বল প্রয়োগ করতে হয় (নিউটনের প্রথম গতিসুত্র)। আর বল প্রযুক্ত হলেই গতি পরিবর্তিত হয়, অর্থাৎ পদার্থ ত্বরণের মধ্য দিয়ে যায় (নিউটনের দ্বিতীয় গতিসুত্র)। সেজন্যে ভরবাহী পদার্থের উপর প্রযুক্ত বল এর বেগ (কিংবা ভরবেগ) পরিবর্তিত করে; আর বেগ পরিবর্তিত হলেই বলা হয় তা ত্বরণের মধ্য দিয়ে গেছে।
এখন আসি আলোর ক্ষেত্রে। আলোর কণার কোনো ভর নেই। তাই এর কোনো জড়তা বা বেগ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কোনো স্বগত প্রতিরোধ কিংবা রেসিস্ট্যান্স নেই। আর তাই আলো সবসময় আলোর বেগেই চলে।