গ্রহগুলোর ভর ও সূর্য থেকে দূরত্বের উপর ভিত্তি করে।
গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে মহাকর্ষ বলের জন্য।কিন্তু সূর্যের ভর অনেক বেশি হওয়ায় গ্রহগুলোর ভর খুব একটা প্রভাব ফেলে না।কিন্তু প্রভাব ফেলে আসলে দূরত্ব।দূরত্ব যত বাড়ে মহাকর্ষ বলও তত কমতে থাকে।যার ফলে শুক্র থেকে পৃথিবীর,পৃথিবী থেকে ইউরেনাসের ঘূর্ণন বেগে তারতম্য দেখা দেয়।
এছাড়া আহ্নিক গতির জন্যে প্রতিটি গ্রহের ঘূর্ণন গতি ভিন্ন হয়ঃ
উদাহরন হিসেবে পৃথিবীর ক্ষেত্রে ধরা যাক ঃ
পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে দিনে একবার নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর এই আবর্তন গতিই দৈনিক গতি বা আহ্নিক গতি নামে পরিচিত। নিজ অক্ষের চারদিকে আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন। এটিকে সৌর দিন বলে। পৃথিবীর আহ্নিক গতি একেক জায়গায় একেক রকম হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠ পুরোপুরি গোল না হওয়ায় এর পৃষ্ঠ সর্বত্র সমান নয়। সে কারণে পৃথিবীপৃষ্ঠের সব স্থানের আবর্তন বেগও সমান নয়। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর পরিধি সবচেয়ে বেশি। এ জন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগও সবচেয়ে বেশি। আহ্নিক গতির কারণেই পৃথিবীর বেশির ভাগ জায়গায় পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত হয়। এ গতির ফলে পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের সামনে থাকে সে অংশ আলোকিত বা দিন হয় এবং অন্যান্য অংশ অন্ধকার থাকে বা রাত হয়। অন্যান্য গ্রহের ক্ষেত্রেও একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়।
তথ্যসূত্র ঃ Science Bee + কালের কন্ঠ + নিজ মতামত