Nishat Tasnim-
প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমাদের ওজন বা মোটা হওয়া প্রধানত খাদ্যের পরিমাণের উপর নির্ভর করলেও আরো হাজার রকম বিষয় এর উপর তা নির্ভর করে। উদাহরণঃ-
১. Genetics : অনেকের family তে সবাই মোটা। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার যার family তে বেশির ভাগ রোগা, তার রোগা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২. Hormones: সবার দেহে হরমোনের পরিমাণ সমান নয়। ব্যক্তি ও বয়স বিশেষে এর হেরফের ঘটে। Thyroid এর হরমোন, এন্ড্রোজেন, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, growth hormone ইত্যাদি হরমোনের তফাতের কারণে রোগা বা মোটা হওয়া অনেক সময় নির্ভর করে। Thyroid নির্গত হরমোনের পরিমাণ বাড়লে আমাদের ওজন কমতে পারে, এর উল্টোটাও হয়।
৩. ব্যায়াম : ব্যায়াম করে অনেকে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে। আবার ব্যায়াম করে ওজন বাড়ানো ও সম্ভব। এটি নির্ভর করে ব্যায়াম এর আগে পরে কি খাওয়া হচ্ছে, কোন সময়ে ব্যায়াম করা হচ্ছে , কোন ধরনের ব্যায়াম করা হচ্ছে তার উপর। যারা মোটা তারা সকালে, বিকেলে দৌড়াদৌড়ি করলে রোগা হবে। যারা রোগা তারা weight lifting ইত্যাদি করে এবং তারপর প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেয়ে ওজন বাড়াতে পারে।
৪. ঘুম: যারা রাতে ঠিক মত ঘুমায় না, তাদের ওজন কমে যাওয়া স্বাভাবিক। ঘুমের সাথে আমাদের হরমোন (বিশেষ করে growth hormone এবং ইনসুলিন) এর সরাসরি সম্বন্ধ আছে। ঘুমের সাথে দুশ্চিন্তা, অবসাদের সম্বন্ধ আছে।
৫. দুশ্চিন্তা: যারা বেশি দুশ্চিন্তা করে, তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। Cortisol hormone এর প্রভাবে দেহে ফ্যাট জমা হতে থাকে। তাছাড়া সুগার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ার ইচ্ছা থাকে (যাতে আমাদের happy hormone বা সেরোটোনিন এর পরিমাণ বাড়ানো যায়)।
এইসব কারণে অনেকে বেশি খেলেও মোটা হয়না। তবে এতে ক্ষতি বলতে তারা অনেক দুর্বল থাকেন, সহজেই রোগাক্রান্ত হন।
© সায়েন্স বী