আকুপাংচার (Acupuncture) কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+32 টি ভোট
1,532 বার দেখা হয়েছে
করেছেন (32,140 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (32,140 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

আকুপাংচার (Acupuncture) 

acupunctureআকুপাংচার (Acupuncture) একটি চীন দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুচ ফুটিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয়। এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় শরীরের ৭৮৭টি, মতান্তরে ৬৭০টি স্থানকে চিহ্নিত করে সুচ ফুটানোর নির্দিষ্ট মানচিত্র রয়েছে। এ চিকিৎসায় সুচ ফুটিয়ে দেহের নির্দিষ্ট স্থান তথা আকুপাংচার পয়েন্টকে উত্তেজিত করা হয়। উদ্বেগ, অনিন্দ্রা, ডিপ্রেশন ইত্যাদি সমস্যাশ আকুপাংচার বেশ কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক এ চিকিৎসা পদ্ধতি স্বীকৃত। আকুপাংচার চিকিৎসায় শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে সুচ বিধলে তা মাংসপেশির নিচের স্তরের স্নায়ুগুলোকে উত্তেজিত করে, যা মস্তিষ্ককে অ্যানালজেসিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণে উদ্দীপিত করে। ফলে রোগ ভাল হয়।

+2 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
অ্যাকুপাংচার (Acupuncture) হল এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে শরীরের কতগুলি বিশেষ বিশেষ বিন্দুতে নানা উপায়ে (যার মধ্যে প্রধান হল সুতীক্ষ্ণ সূচ চামড়া ফুটো করে বিভিন্ন মাত্রায় ঢুকিয়ে) শরীরের তথাকথিত Qi বা জীবনী শক্তিকে বাঁধন মুক্ত করা। চীন দেশের বহু যুগের প্রচলিত বিশ্বাস যে, এর ফলে স্বাস্থ্য রক্ষিত হয়। আজকের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যদিও পুরোপুরি এই পদ্ধতিটি বুঝতে সক্ষম হন নি, কি ভাবে এই প্রক্রিয়া কাজ করে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে, বা কেমোথেরাপির ফলে বমি বমি ভাব এই প্রক্রিয়ায় দূর হয়। এছাড়াও এটি নানা অসুখে, যেমন, অ্যালার্জি, আর্থ্রাইটিস, পেটের রোগ ইত্যাদিতে কার্যকরি বলে মনে করা হয়৷

অ্যাকুপাংচার চিকিৎসা করতে গেলে রোগীকে সাধারণত সপ্তাহে একবার বা দুসপ্তাহে একবার করে অ্যাকুপাংচার-চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। চিকিৎসা সম্পূর্ণ হতে প্রায় গোটা বারো বার অ্যাকুপাংচার করতে হতে পারে। প্রতিবার ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত এই চিকিৎসা চলে। কোথায় সূচ ঢোকানো হবে, সেটা চিকিৎসকরা ঠিক করেন। সেই ভাবে রোগীকে শোয়ানো হয়। সাধারণতঃ এতে কোনও ব্যথা লাগে না, এক আধ সময়ে সূচটা ঠিক যায়গায় পোঁছনোর পর একটা আবছা ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। অ্যাকুপাংচার-ডাক্তার অনেক সময়ে সূচটিকে নাড়িয়ে শরীরের বিন্দুটিকে একটু উত্তেজিত করতে পারেন। এক একবারে গোটা বারো সূচ ফোটানো হয় এবং সূচগুলিকে ৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত বিঁধিয়ে রেখে দেওয়া হয়।

আকুপাংচারের ইতিহাস খুঁজলে চলে যে হয় প্রায় প্রস্তরযুগে - আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে। প্রত্নতত্ববিদরা মঙ্গোলিয়াতে পাথরের যেসব তীক্ষ্ণ সূচ খনন করে পেয়েছেন - সেগুলি মনে করা হয় অ্যাকুপাংচারে ব্যবহৃত হত। নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে হান বংশের রাজত্বকালে অর্থাৎ খ্রীষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে অ্যাকুপাংচার পদ্ধতি চালু ছিল। সেই সময়ের রচিত চিকিৎসা শাস্ত্রের পুস্তকে অ্যাকুপাংচারের বর্ণনা আছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ধীরে ধীরে চীন থেকে জাপান, ভিয়েৎনাম ইত্যাদি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

পাশ্চাত্যদেশ বিশেষতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আকুপাংচার সম্পর্কে আগ্রহান্বিত হয় বিংশ শতাব্দীর সত্তর দশকে। নিউ ইয়র্ক টাইম পত্রিকার বিখ্যাত রিপর্টার, জেমস রেস্টন, চীন দেশে গিয়ে একটি সার্জারির পরে যখন ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন, তখন ডাক্তাররা অ্যাকুপাংচার করে তাঁর ব্যথা উপশম করেন। রেস্টন সেই খবরটি নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে সাড়া পরে যায়। তার কিছু পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাকুপাংচারের প্রথম ক্লিনিক স্থাপিত হয়। অ্যাকুপাংচার চিকিৎসার জনপ্রিয়তা সব দেশেই ধীরে ধীরে বাড়ছে।

Source: Quora
+1 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
আকুপাংচার এক বিশেষ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি। Acus ও Puncture শব্দ দুটি থেকে আকুপাংচার (Acupuncture) কথাটি এসেছে। Acus অর্থ সুচ এবং Puncture অর্থ ফোটানাে। সুতরাং আকুপাংচার শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলাে সুচ ফুটানাে। রােগ নিরাময়ে স্টেইনলেস স্টিলের সুঁচের প্রয়ােগ প্রণালিই হলাে আকুপাংচার। এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছােট ছােট সুঁচ ফুটানাে হয়। চীনের আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা মানবদেহে মােট ৭৮৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করেছেন। রােগের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট স্থানে সুচ ফুটানাে হয়। সুচগুলাে শরীরের গভীরে প্রবেশ করানাে হয় না। ফলে এটা প্রায় যন্ত্রণাহীন। এ চিকিৎসার সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
আকুপাঙ্কচার বা অ্যাকিউপাঙ্কচার হল ব্যথা ও রোগ নিরাময় করার জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন চৈনিক চিকিৎসাপদ্ধতি।[১] শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সরু লম্বা সুই ফুটিয়ে চিকিৎসা করা হয়।[২] বহুপূর্বে চীনা চিকিৎসাবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো আকুপাঙ্কচার। প্রথমে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে তা আবিষ্কৃত হলেও পরে তা বিজ্ঞানের স্বীকৃতি পায়নি, কিন্তু বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে , এই আকুপাংচার নির্ভর কিছু সায়ন্টিফিক তথ্য আছে । আকুপাংচার এর লক্ষ্য হচ্ছে কৌশল। ক্লিনিকের নিয়মিতকরণ আর তার মৌলিক তত্ত্ব রেকর্ড করা।এদিকে ২০০৩ সালে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আকুপাঙ্কচারকে স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং যে সব সমস্যায় আকুপাঙ্কচারের সফলতা "হূ" দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে , তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

আকুপাঙ্কচারের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রাচীন বই-পুস্তকে আকুপাংচারের যন্ত্রপাতি ছিল হাড় নির্মিত। চার থেকে আট হাজার বছর আগে এ ধরনের যন্ত্রপাতি দেখা গেছে। এটি ছিল গোত্র সমাজের শেষ ভাগের সময়ের পর্ব। প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের সময় হাড়ের সূঁচ পাওয়া গিয়েছিল। বসন্ত ও শরৎ যুগে (খ্রীঃ পূর্বঃ ৭৭০–৪৭৬) চিকিৎসাবিদ্যা মায়া বা জাদু তথা ঝাড় ফুঁক থেকে অন্যদিকে মোড় নেয়, এবং তখন কিছু ডাক্তারেরও আবির্ভাব ঘটে। দুইন ছিউ ঝুও শি চুয়ান নামক গ্রন্থে ডাঃ ই হোয়ান আকুপাঙ্কচার আর মক্সিবাশ্চনের কথা উল্লেখ করেন, যা নৃপতি জিংয়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

যুদ্ধমান আর পশ্চিম হান যুগে (খ্রীঃ পূঃ ৪৭৬—খ্রীষ্টীয় ২৫), লোহা গলানোর প্রযুক্তি আবিস্কারের কল্যাণে অধিকতর সংখ্যার ধাতব সূঁচ তৈরি হয়। হাড়ের সূঁচ পৌঁছুতে পারতোনা শরীরের এমন জায়গায় ধাতব সূঁচ ফুটিয়ে আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রয়োগ আরও উন্নত হয়। তারপর পূর্ব হান আর ত্রি-রাজ্য যুগে বহু আকুপাঙ্কচার বিশারদের অভ্যূদয় ঘটে। হোয়াং পু মি’র লেখা জেন জিও চিয়া ইচিং গ্রন্থেই প্রথম নিয়মতান্ত্রিকভাবে আকুপাংচারের বিষয়াদি আলোচিত হয়। আরও বেশি সংখ্যার আকুপাঙ্কচার বিষয়ক বই প্রকাশিত হয় চিন এবং দক্ষিণ ও উত্তর যুগে (খ্রীষ্টীয় ২৫৬–৫৮৯) । তখন কোরিয়া ও জাপানে আকুপাংচার পরিচিতি লাভ করে।

সুই আর থাং যুগে (খ্রীষ্টীয় ৫৮১–৯০৭) আকুপাঙ্কচার একটি বিশেষায়িত বিষয়ে পরিণত হয়। ষোড়শ শতাব্দিতে আকুপাংচার ইউরোপে প্রবেশ করে, তবে ছিং রাজার আমলে তার যথাযোগ্য মূল্যায়ন হয়নি বলে দুর্দিনে পতিত হয়।

১৯৪৯ সালের পর থেকে অদ্যবধি আকুপাঙ্কচারের প্রভূত উন্নতি হচ্ছে। আকুপাঙ্কচার গবেষণায় অনেক মূল্যবান তথ্য পাওয়া গেছে। বিশেষ করে তার নিয়মিত কর্মকান্ডে, ব্যথার উপশমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়নে এবং মানুষের শরীরের নল-নালীতে , আকু পয়েন্টে আর অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে। তবে আকুপাংচার পদ্ধতিটি সর্ম্পকে বড় বড় চিকিৎসাবিদরা ভিন্নমত দিয়েছেন। এটি আসলেই কোন কাজ করে কিনা, এ সর্ম্পকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। ড. চ্যান বলছেন, ‘আকুপাঙ্কচার পদ্ধতি সত্যিই কাজে আসে- এমন কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু তাই বলে এগুলো একেবারে আশাহতও করে না। এসবের সুবিধা হচ্ছে, এ পদ্ধতির সঙ্গে উপদেশনার যোগ থাকলে তা খুব কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। আর অসুবিধা হচ্ছে, এ পদ্ধতির উপকারিতা এখনও পুরোপুরি প্রমাণিত হয়নি। তা ছাড়া এটি খুব ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।

এ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন খুঁজে পাওয়া গেল না

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,610 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. Randell25Y95

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...