মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপন্ন করে: মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রাথমিক কাজ হল কোষীয় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ATP (এডিনোসিন ট্রাইফসফেট) আকারে শক্তি উৎপাদন করা।
সেলুলার শ্বসন: সেলুলার শ্বসন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মাইটোকন্ড্রিয়া অক্সিজেন ব্যবহার করে গ্লুকোজ এবং অন্যান্য অণুগুলিকে ভেঙে ATP আকারে শক্তি মুক্ত করে।
ATP: ATP হল অধিকাংশ সেলুলার প্রক্রিয়ার জন্য শক্তির প্রাথমিক উৎস, এবং মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের জন্য প্রয়োজনীয় ATP-এর অধিকাংশ উৎপাদনের জন্য দায়ী।
সেলুলার মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ: মাইটোকন্ড্রিয়া বিভিন্ন বিপাক এবং সংকেত অণুর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সেলুলার বিপাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
ক্যালসিয়াম সিগন্যালিং: মাইটোকন্ড্রিয়া ক্যালসিয়াম সিগন্যালিংয়েও একটি ভূমিকা পালন করে, যা পেশী সংকোচন এবং নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ সহ বিভিন্ন সেলুলার প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাপোপটোসিস: মাইটোকন্ড্রিয়া অ্যাপোপটোসিসে জড়িত, যা একটি প্রোগ্রাম করা কোষের মৃত্যুর প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়ায় ঘটে।
প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন প্রজাতি (ROS) উৎপাদন: মাইটোকন্ড্রিয়া হল ROS-এর একটি প্রধান উৎস, যা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হলে কোষের ক্ষতি করতে পারে।
মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ: মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব জেনেটিক উপাদান রয়েছে, যা মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ (এমটিডিএনএ) নামে পরিচিত, যা শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপাদনে জড়িত।
এন্ডোসিমবায়োটিক তত্ত্ব: মাইটোকন্ড্রিয়া ব্যাকটেরিয়া থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয় যেগুলো ইউক্যারিওটিক কোষে একত্রিত হয়েছিল, যা মাইটোকন্ড্রিয়া উৎপত্তির এন্ডোসিমবায়োটিক তত্ত্বের দিকে নিয়ে যায়।