চাদের কারণে পৃথিবিতে কেন জোয়ার ভাটা হয় বুঝিয়ে বলবেন [poll] - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+18 টি ভোট
1,164 বার দেখা হয়েছে
"আইকিউ" বিভাগে করেছেন (10,910 পয়েন্ট)
### no choices found for poll!

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (10,910 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হওয়ার মূখ্য কারণ হচ্ছে চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণ শক্তি। তবে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে চাঁদের আকর্ষণ বলই বেশী কাজ করে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, জোয়ার উৎপাদনের ক্ষেত্রে সূর্যের ক্ষমতা চাঁদের ক্ষমতার নয় ভাগের চার ভাগ। এছাড়াও জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে আহ্নিক গতির প্রভাবও উল্লেখযোগ্য। আমরা সকলেই জানি, পৃথিবীতে দিনরাত্রি হওয়ার প্রধান কারণও এই আহ্নিক গতি। এই গতির ফলে সমুদ্র-স্রোতের দিক পরিবর্তন হয়। ফলে স্রোত যেদিকে প্রবাহিত হয় সেদিকে জোয়ার এবং যেদিক হতে প্রবাহিত হয় সেদিক ভাঁটার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি বা কেন্দ্রবিমুখী শক্তির ফলেও জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হতে পারে। কোনো স্থানে জোয়ার সৃষ্টির প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা সংঘটিত হতে পারে।

আমরা জানি, সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা বহুগুণ বড়। কিন্তু দূরত্বের বেলায় চন্দ্র সূর্য হতে পৃথিবীর অনেক নিকটবর্তী। যেখানে সূর্যের গড় দূরত্ব পৃথিবী হতে ১৫ কি.মি. সেখানে চন্দ্রের গড় দূরত্ব মাত্র ৩৮.৪ লক্ষ কি.মি.। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই সূর্য হতে চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি অনেক বেশী হবে। যার ফলে জোয়ার-ভাঁটা সৃষ্টিতে সূর্য অপেক্ষা চাঁদের প্রভাব বেশী।

জোয়ার প্রধানত দুই প্রকার।

(১)মুখ্য জোয়ার:

চাঁদ যখন পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করে তখন পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয়, সেই অংশে চাঁদের আকর্ষণের প্রভাবে পানি ফুলে উঠে তথা জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এরূপ জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বলে। কোনো স্থানে একবার মুখ্য জোয়ার হওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট সময় অতিক্রম করলে পুনরায় সেখানে মুখ্য জোয়ার সৃষ্টি হয়।

(২)গৌণ জোয়ার:

চাঁদ পৃথিবীর যে পাশে আকর্ষণ করে তার ঠিক অপর পাশে জলরাশির ওপর মহাকর্ষ বল অনেকাংশে কমে যায় এর ফলে সে স্থানে কেন্দ্রাতিগ শক্তির সৃষ্টি হয়। ফলস্বরুপ চারদিকের পানি ঐ স্থানে এসে জোয়ারের সৃষ্টি করে। এরূপ সৃষ্ট জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বলে।

মাঝে মাঝে চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণের জন্য জোয়ারের পানি অনেক বেশী ফুলে ওঠে। ফলে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়, একে তেজ কটাল বলে। সাধারণত পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করলে তেজ কটালের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে চন্দ্র ও সূর্য যখন পৃথিবীর সাথে এক সমকোণে থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। তখন চাঁদের আকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সেখানে জোয়ার হয় এবং সূর্যের আকর্ষণ শক্তির ফলে সেখানে ভাঁটা হয়। তবে চন্দ্রের আকর্ষণে যে জোয়ার হয়, সূর্যের আকর্ষণে তা বেশী স্ফীত হতে পারে না। এধরণের জোয়ার-ভাটাকে মরা কটাল বলে। সাধারণত অষ্টমীর তিথিতে মরা কটাল হয়। প্রতি এক মাসে দুইবার তেজ কটাল এবং দুইবার মরা কটাল হয়ে থাকে।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
আবার চাঁদ থেকে পানির দূরত্ব মাটি অপক্ষা বেশি থাকায় পানির ওপরে চাঁদের আকর্ষণ কম থাকে। ফলে সেখানকার পানি চারদিকে ছাপিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে ফুলে ওঠার ঘটনায় ঘটে। ফলে একই সময়ে চাঁদের দিকে এবং চাঁদের বিপরীত দিকে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির এই ফুলে উঠাকে জোয়ার বলে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 309 বার দেখা হয়েছে
16 অক্টোবর 2021 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+13 টি ভোট
5 টি উত্তর 1,513 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 263 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,677 জন সদস্য

144 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 144 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. DeanKingsfor

    100 পয়েন্ট

  5. 8kbetpromo

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...